নারায়ণগঞ্জে স্বামী হত্যায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন, পরকীয়া প্রেমিকের ফাঁসি

নারায়ণগঞ্জে স্বামী হত্যায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন, পরকীয়া প্রেমিকের ফাঁসি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গার্মেন্টসকর্মী আমিনুল ইসলাম কালু হত্যায় মামলার রায়ে পরকীয়া প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড ও স্ত্রীসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বুধবার (৩১ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক বেগম সাবিনা ইয়াসমিন আসামিদের উপস্থিতি রায় ঘোষণা করেন।দণ্ডিতরা হলেন, নিহতের স্ত্রী রিক্তা বেগম (২৭), আতিকুল ইসলাম আতিক (২৭), মিজানুর রহমান মিতু (২৪) ও পরকীয়া প্রেমিক রেজাউল করিম পলাশ (৩০)।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জাসমীন আহমেদ জানান, রায়ে রেজাউল করিম পলাশকে একটি ধারায় মৃত্যুদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অপর একটি ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ডসহ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়াও রিক্তা বেগমসহ তিনজনকে একটি ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডসহ প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে প্রত্যেককে আরও দুইবছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আরেকটি ধারায় তিন আসামিকে তিন বছরের করে সশ্রম কারাদণ্ডসহ পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

মামলার বাদী নিহতের বড় ভাই শামসুল হক বলেন, আমিনুল ইসলাম কালু (৩৫) ও রিক্তা বেগমের ১০ বছরের সংসারে ইব্রাহীম (৭) নামে তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। আমিনুল ইসলাম কালু গার্মেন্টসে কাজ করত। তার স্ত্রী রিক্তা বেগম বাসায় থেকে রেজাউল করিম পলাশ, আতিকুল ইসলাম আতিক ও মিজানুর রহমান মিতুকে মেসে রান্না করে খাওয়াত। এতে রেজাউল করিম পলাশের সঙ্গে রিক্তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক হয়। তাদের মধ্যে অবৈধ মেলামেশা চলতে থাকে।

এক পর্যায়ে আমিনুলকে হত্যা করে রিক্তা বেগমকে বিয়ে করার আশ্বাস দেয় রেজাউল। এতে রেজাউল তার আরও দুই সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে ২০১৯ সালের ১ মার্চ বিকেলে আমিনুলকে বাসা থেকে ডেকে সোনারগাঁওয়ের কাফুরদী এলাকায় নিয়ে জবাই করে হত্যা করে মরদেহ নদীর পাড়ে ফেলে দেয়। পরদিন সকালে আমিনুলের মরদেহ নদীর পাড় থেকে পুলিশ উদ্ধার করে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password