জেলখানায় বন্দীদের কে হাজতি, কে কয়েদি?

জেলখানায় বন্দীদের কে হাজতি, কে কয়েদি?
MostPlay
অপরাধীর অপরাধ অনুযায়ী সাজার শুনানী দেয় আদালত। কারাগারের ভিতরে থেকে ভোগ করতে হয় সে সাজা। কিন্তু আদালতের পূর্নাঙ্গ রায় পাওয়ার পূর্বে আসামীকে কোথায় রাখা হয়? রায় পাওয়ার পূর্বেও কি কারাভোগ করতে হয়? কয়েদি কারা? কাদেরকে হাজতি বলা হয়? 

হ্যা এ সব প্রশ্নের ব্যাখ্যা করা হবে আজকের আলোচনায়। কারাগার, জেলখানা বা লাল দালান, যে নামেই ডাকা হোক না কেন, এই কুটিরের মধ্যে যাদেরকে রাখা হয়, মোটেও এটি তাদের জন্য সুখকর স্থান হয় না কখনও। 

সাধারণত কারাগার বলতে বোঝায়, এমন স্থান সাধারণ বা সরকারি নির্দেশে স্থায়ী বা সাময়িকভাবে ব্যবহৃত অবকাঠামো যেখানে বন্দিদের আবদ্ধ রাখা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে বর্তমানে  তিন ধরনের কারাগার রয়েছে। ১। কেন্দ্রীয় কারাগার, ২। জেলা কারাগার ও ৩। বিশেষ কারাগার 

কারাগারে যাদের রাখা হয় তাদেরকে হাজতি এবং কয়েদি বলে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু ডাকা হয় ভিন্ন ভিন্ন  নামে। 

জেলখানায় যে সব বন্দিদেরকে আনা হয়, তারা মূলত হাজতি এবং কয়েদি হিসেবে আসে। কিন্তু পরিচালনার সুবিধার্থে এইসব বন্দিদের কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমন, সিভিল বন্দি , মহিলা বন্দি , বিচারাধীন বন্দি , ২১ বছরের কম বয়সী পুরুষ বন্দি , কিশোর বন্দি এভাবে ভাগ হয়ে থাকে বন্দীরা। তবে এখানে বন্দীদের প্রধানত দু'টি ভাগে ভাগ করা হয়। ১। কয়েদি এবং ২। হাজতি।

কয়েদি :
এই ভাগে সেই সব বন্দীদের ভাগ করা হয়ে থাকে যাদের বিচার কার্য শেষ। এবং মামলার রায়  হয়ে গেছে তারাই কয়েদি বন্দি হিসেবে গণ্য। অর্থাৎ যে সব বন্দীদের আদালতের নির্দেশে সাজা হয়েছে তারাই কয়েদি। সাজাপ্রাপ্ত কয়েদীদের জেলখানায় নানা রকম কাজ করতে দেওয়া হয়ে থাকে। শারিরীক যোগ্যতা এবং কাজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী তাদের কাজ করতে দেওয়া হয়।  কয়েদিদের আলাদা আলাদা ওয়ার্ডে রাখা হয়। বয়স এবং নামের আদ্যাক্ষর অনুযায়ী বিভিন্ন ওয়ার্ডেমথাকে তারা।

হাজতি : 
যারা অপরাধী হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছে কিন্তু তাদের বিচার প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি, অর্থাৎ যে সব বন্দীদের মামলার রায় হয়নি কিন্তু তারা বন্দী হিসেবে জেলখানায় থাকে, মুলত তাদেরকেই হাজতি হিসেবে গণ্য করা হয়। জেলখানায় থাকলেও মামলা চলমান থাকায় তাদের নির্ধারিত সময়ে আদালতে হাজিরা দিতে হয়। হাজতি বন্দিদের দিয়ে সাধারণত কোনো কাজ করতে দেওয়া হয় না।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password