মাকে ফেরানোর চেষ্টায় ব্যর্থ দুই বোন

মাকে ফেরানোর চেষ্টায় ব্যর্থ দুই বোন

মায়ের মুখের সঙ্গে মুখ লাগিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস সচল করার চেষ্টা করছেন দুই বোন। শেষ বারের মতো মাকে বাঁচানো যায় কি না সেই চেস্টা করছে তারা। কিন্তু না তা আর হয়ে উঠল না। ভারতের উত্তর প্রদেশের মহারাজ শেহেলদেব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দৃশ্য। একটি স্ট্রেচারে নিষ্প্রাণ মায়ের দেহে প্রাণ ফেরানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছেন দুই বোন। মায়ের মুখের সঙ্গে মুখ লাগিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস সচল করার চেষ্টা করছেন তারা।

এ দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করার পর তা শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে আশপাশের মানুষকে অক্সিজেন সঙ্কট এবং হাসপাতালে জনবলের অভাব আছে বলে অভিযোগ করতে শোনা যায়। এ খবর দিয়েছে সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআই। যদি কোনো ব্যক্তির ফুসফুস অকেজো হয়ে যায়, তিনি অচেতন হয়ে পড়েন তখন তার দেহে কৃত্রিশ শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য মুখে মুখ লাগিয়ে ফুসফুসে বাতাস প্রবেশ করানো হয়। এতে অনেক নিষ্প্রাণ দেহে প্রাণের সঞ্চার হয়।

ওই হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার এহতেশাম আলি বলেছেন, নিঃশ্বাস যায় যায় এমন অবস্থায় ওই রোগীকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। তার কাছে চিকিৎসক পৌঁছামাত্র তিনি মারা যান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শম্ভু কুমার ও মেডিকেল কলেজটির সিনিয়র চিকিৎসকরা রোগীর কাছে যান এবং তাকে পরীক্ষা করে দেখেন।

মহারাজা সুহেলদেব মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ একে সাহনি রোববার বলেছেন, যখন ওই রোগীকে জরুরি বিভাগে নেয়া হয়, তখন তার পরিবার দাবি করেছে যে, তিনি মৃত্যুশয্যায় আছেন। চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা শুরু করতেই তিনি মারা যান। এই রোগীর যে দুই মেয়ে তার মুখের সঙ্গে মুখ লাগিয়ে মায়ের দেহে শ্বাস-প্রশ্বাস চালু করার চেষ্টা করেছিলেন তাদের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। একে সাহনি বলেছেন, তার হাসপাতলে অক্সিজেনের কোনো সঙ্কট নেই।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password