আজ এন্ড্র কিশোরের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী

আজ এন্ড্র কিশোরের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী
MostPlay

বাংলা সঙ্গীতের কিংবদন্তী এন্ড্র কিশোরের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এন্ড্রু কিশোর আমাদের মাঝে নেই দেখতে দেখতে এক বছর পুর্ণ হয়র গেল। মানুষ বাঁচে তার কর্মে মৃত্যূর পর এই কথাটাই যেন আবার প্রমান করেছেন এন্ড্রু কিশোর। মৃত্যূর কারণে তিনি শুধু দেহ ত্যাগ করেছেন, তার গানের মাঝে এখনও তিনি রয়েছেন আমাদের মাঝেই। মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে ২০২০ সালের ৬ জুলাই পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নেয় সবার প্রিয় এন্ড্রু কিশোর। শরীরে নানা ধরনের জটিলতা নিয়ে এন্ড্রু কিশোর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছিলেন।

বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার শরীরে নন-হজকিন লিম্ফোমা নামের ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে তার চিকিৎসা শুরু হয়। কয়েক মাস ধরে সেখানে তার চিকিৎসা চলে। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসা শুরুর কয়েক মাস তার অবস্থা কিছু ভালো হলেও শেষ দিকে এসে আবার অবনতি হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত কোনো উপায় না দেখে দেশে ফেরেন তিনি। করোনার কারণে তার মৃত্যুবার্ষিকী ঘিরে নেই বিশেষ কেনো আয়োজন। পারিবারিকভাবে শুধু প্রার্থনা সভার আয়োজন রাখা হয়েছে। প্রিয়জনের আত্মার শান্তি কামনা করতে রাজশাহীতে এসেছেন শিল্পির স্ত্রী ও কন্যা।

বাংলা গানের কিংবদন্তি এই শিল্পী ১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করা এন্ড্রু কিশোর চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সুরের জাদুতে সংগীতপ্রেমীদের মাতিয়ে রেখেছিলেন। মোট আটবার শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এন্ড্রু কিশোর। সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দ, প্রেম-বিরহ সব অনুভূতির গানই তার কণ্ঠে পেয়েছে অনন্য মাত্রা। তার শত শত গান এখনো মানুষের মুখে মুখে। এরমধ্যে ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘কারে দেখাব মনের দুঃখ গো’ বা ‘তুমি আমার জীবন, আমি তোমার জীবন’—সহ অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান আজও তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password