জান্তার বিরুদ্ধে এবার আবর্জনা ধর্মঘট

জান্তার বিরুদ্ধে এবার আবর্জনা ধর্মঘট
MostPlay

এবার আরও অভিনব পন্থায় সেনা শাসকদের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন মিয়ানমারের অভ্যুত্থানবিরোধীরা। রাস্তায় রাস্তায় আর্বজনা ফেলে পালন করছেন ধর্মঘট। ক্রমবর্ধমান এ আন্দোলনে  শহরের রাস্তাগুলোতে ময়লার পাহাড় জমে গেছে। এ জন্য এটাকে ‘আবর্জনা ধর্মঘট’ বলা হচ্ছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে। 

বিক্ষোভকারীরা সু চির মুক্তির পাশাপাশি বেসামরিক কর্তৃপক্ষের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। চলমান অসহযোগ আন্দোলন আরও জোরালো করতে প্রতিদিনই নতুন নতুন কৌশল বেছে নিচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। সোমবার লাউড স্পিকারে ঘোষণা দিয়ে স্থানীয়দেরকে শহরের প্রধান সড়কগুলোতে আবর্জনা ফেলার আহ্বান জানানো হয়। মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় স্তরে স্তরে আবর্জনা জমা করা হচ্ছে। 

একটি পোস্টারে লেখা আছে, ‘জান্তার বিরোধিতা করতেই এ আবর্জনা ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। সবাই এতে শামিল হতে পারেন।’রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্দোলনকারীদের প্রতিবাদ জানানো নতুন এই কৌশলকে ‘সভ্য অবাধ্যতা’ ক্যাম্পেইন বলা হচ্ছে। তারা সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছেন সব বড় রাস্তার মোড়ে আবর্জনা ফেলে রাখতে। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘এই আবর্জনা ধর্মঘটের উদ্দেশ্য সেনা শাসনের বিরোধিতা করা। এতে সবাই অংশ নিতে পারবেন।’ দেশের সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনের বেশ কিছু জায়গায় সরকারের পক্ষ থেকে লাউড স্পিকারের মাধ্যমে বাসিন্দাদের অনুরোধ করা হয় সঠিকভাবে আবর্জনা ফেলতে। কিন্তু সবাই এই নির্দেশ অমান্য করছেন। 

সেনা শাসকদের বিরোধিতা করা তিনটি দল- দ্য মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স আর্মি, দ্য আরাকান আর্মি ও টাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি এক যৌথ বিবৃতিতে আন্দোলনকারীদের হত্যা বন্ধ করতে সামরিক শাসকদের প্রতি আহ্বান জানান।মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বিক্ষোভকারীদেরকে ‘সহিংস সন্ত্রাসী’ হিসাবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ‘দাঙ্গাবিরোধী অস্ত্র’ ব্যবহার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। 

মঙ্গলবার সাউথ দাগন এলাকার এক বাসিন্দা রয়টার্সের কাছে অভিযোগ করেন, নিরাপত্তাবাহিনী সোমবার রাতভর ওই এলাকায় ধরপাকড় চালিয়েছে। সারা রাত গোলাগুলি হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন তিনি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password