বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অপরিহার্য তিন সদস্য সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহীম। দেড় দশক ধরে এই তিনজন সার্ভিস দিয়ে আসছেন দলকে। সঙ্গে ছিলেন আরও দু’জন। মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যে কারণে তাদের নামই হয়ে গিয়েছিল পঞ্চ পাণ্ডব।
তবে ইনজুরির কারণে মাশরাফির দলের বাইরে থাকা ছিল এক প্রকার নিয়মিত ঘটনা এবং অফ ফর্মের কারণে মাহমুদউল্লাহকেও মাঝে-মধ্যে বাইরে থাকতে হয়েছে। তবে, দলে একেবারে নিয়মিত ছিলেন বাকি তিনজন- সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহীম।
২০০৬ সালে একসঙ্গে পথচলা শুরু হয়েছিল সাকিব এবং মুশফিকের। ২০০৭ সালে এই দু’জনের সঙ্গে যুক্ত হন তামিম ইকবালও। ২০০৬ সালের ৬ আগস্ট জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে এক সঙ্গে অভিষেক হয় সাকিব-মুশফিকের। তার আগে সাকিব-মুশফিক কিংবা তামিম ছাড়া বাংলাদেশ সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছিল ২০০৬ সালের ৪ আগস্ট, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
সময়ের অমোঘ বিধান, খণ্ডানোর সাধ্য নেই কারো। ২০০৬ সালের ৬ আগস্ট থেকে আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশ এমন কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি, যেটাতে সাকিব-তামিম-মুশফিকের তিনজনই কিংবা কেউ না কেউ ছিল না!
অথ্যাৎ, ২০০৬ সালের ৬ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের প্রতিটি আন্তর্জাতিক ম্যাচেই এই তিন ক্রিকেটারের একজনের হলেও উপস্থিতি ছিল। কিন্তু প্রায় দেড় দশক তথা ১৫ বছর পর এসে এই প্রথম বাংলাদেশ একটি ম্যাচ খেললো, যেখাকে সাকিব-তামিম এবং মুশফিক- এই তিনজের কেউই উপস্থিত ছিলেন না একাদশে।
নিউজিল্যান্ড সফর থেকে আগেই ছুটি নিয়ে রেখেছিলেন সাকিব আল হাসান। নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার পর ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম জানিয়েছিলেন, তিনি টি-টোয়েন্টি খেলবেন না। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে মুশফিক নিজে থেকেই সরে দাঁড়ান কাঁধের হালকা ইনজুরির কারণে। যদিও দল থেকে বলা হয়েছিল বিশ্রাম দেয়া হয়েছে তাকে।
তবে যেমনই হোক কিংবা যেভাবেই হোক- বাংলাদেশ আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নেমেছে তাদের সেরা তিন ক্রিকেটারকে ছাড়াই। গত ১৫ বছরে যা একবারও ঘটেনি।
এই ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ২১০ রান করে নিউজিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতে মহা বিপর্যয়ে পড়লেও শেষদিকে আফিফ-সাইফের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ৮ উইকেটে ১৪৪ রান করতে সক্ষম হয়। ৬৬ রানে হার মানে বাংলাদেশ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন