নারীদের টার্গেট করে ভাব জমাতেন তারা

নারীদের টার্গেট করে ভাব জমাতেন তারা

এ চক্রটি শুধু খেটে-খাওয়া নারীদের টার্গেট করে। এর আগে দেখে নেয় তার পরনে কোন স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে কিনা। নিশ্চিত হওয়ার পর টার্গেটের সঙ্গে কথা বলে ভাব গড়ে তোলেন তারা। খাতির হয়ে গেলে এক পর্যায়ে তাকে জানান এলাকার এক হাজি সাহেব নগদ টাকা দান-ছদকা করছেন। তিনিও কিছুক্ষণ আগে নিয়ে এসছেন বলে টাকা দেখিয়ে টার্গটকে সেখানে যেতে বলেন।

আশ্বস্ত হয়ে যেতে চাইলে পরনের স্বর্ণের অলঙ্কার থাকলে দান করবে না কারন দেখিয়ে টার্গেটকে তা খুলে যেতে বলা হয়। পরে বিশ্বাস করে স্বর্ণ রেখে দেখিয়ে দেয়া বাড়িতে ঢুকলেই বিষয়টি ভূয়া বলে জানতে পারে টার্গেট। আর এরই মধ্যে স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায় প্রতারক। তাই প্রতারক চক্রটি হাজির কামলা গ্রুপ বলে পরিচিত।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কদমতলী থানা এলাকা থেকে ৫ প্রতারককে গ্রেপ্তারের বিষয়ে শনিবার (২৩ জানুয়ারী) বিডিটাইপকে এসব তথ্য জানান শ্যামপুর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শাহ আলম। তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত শুক্রবার কদমতলী থানাধীন মুরাদপুর নোয়াখালী পট্টি কামাল মিয়ার বাড়ীর চারতলার পশ্চিম পাশের ফ্ল্যাট থেকে এক নারীসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করি। তারা হলেন- মোসা. পিয়ারা বেগম (৩৮), মো. হীরা (৩৪), মো. রকি খন্দকার (২৫), মো. জাহিদুল ইসলাম (৩০) ও মো. ফয়সাল দেওয়ান রানা (৩০)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৬ ভরি ৮ আনা স্বর্ণ, ৬৮ ভরি ৪ আনা রূপার অলংকার, ৬ লাখ ৩২ হাজার ৩৬০ টাকা, টার্চ স্ক্রীন ও বাটনসহ ১৭টি পুরাতন মোবাইল, সিটি গোল্ডের কিছু অলংকার, তালা ভাঙ্গার সরঞ্জামাদি, ৩৫ পিচ শাড়ী উদ্ধার করা হয়। তিনি জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে আরো বলেন, এ চক্রটি খেটে-খাওয়া মানুষদের টার্গেট করে হাজি সাহেব দান-ছদকা করছেন নামে প্রতারণা করে বলে এ গ্রুপের নাম হাজির কামলা গ্রুপ। বেশ কয়েক বছর ধরে তারা এ কাজ করে আসছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কদমতলী থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো. কামরুজ্জামানসহ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। নারীরাই এদর মূল টার্গেট। আমরা তারে কাছে যে নগদ অর্থ পেয়েছি ধারণা করা হচ্ছে তা স্বর্ণালঙ্কার বিক্রির টাকা। এ ঘটনায় গতকাল তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password