দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বেকায়দায় পড়েছেন কিশোরগঞ্জের সাধারণ মানুষ।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বেকায়দায় পড়েছেন কিশোরগঞ্জের সাধারণ মানুষ।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বেকায়দায় পড়েছেন কিশোরগঞ্জের সাধারণ মানুষ। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অত্যধিক দাম ও ক্রয়ক্ষমতার বাইরে হওয়ায় অনেকেই পরিবারের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী কিনতে পারছেন না। এতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।

তবে এ পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়া এবং ব্যবসায়ীদের অযৌক্তিক মুনাফা লোটার বিষয়টিকে দায়ী করেছেন সাধারণ ভোক্তারা।

সদর উপজেলার  দিনমজুর মোঃ হোসেন মিয়া তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। করোনা ও বন্যা পরিস্থিতির জন্য দীর্ঘদিন ধরে তার কাজ বন্ধ। এ অবস্থায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যেরও দাম বেড়েছে, অনেকক্ষেত্রে তা নাগালের বাইরে। তাই পরিবারের সদস্যদের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে পারছেন না। প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম খাবারে জীবন ধারণ করতে হচ্ছে তাদের।

যশোদল এলাকার কৃষক নারায়ণ চন্দ্র সরকার  জানান, করোনা ও বন্যার রেশ এখনও কাটেনি। অধিকাংশ জমিই এখনও চাষাবাদের আওতায় আসেনি। ফলে অন্যের জমিতেও কাজ নিয়মিত পাচ্ছেন না। এর ওপর বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম আকাশচুম্বি। এতে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম খাদ্য সামগ্রী দিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের।

সরেজমিনে সদর উপজেলার বড়বাজার, কাচারিবাজার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এসব বাজারে খুচরায়  চাল ৭০থেকে ৭২টাকা কেজি, তেল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা,চিনি ৭০থেকে ৭৫,পেয়াজ ৪৩-৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় প্রশাসনিক মনিটরিং তেমন না থাকার সুযোগে ব্যাবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করছেন। এক্ষেত্রে জেলার প্রতিটি বাজার ও হাটে প্রশাসনিক নজরদারি বাড়ানোর ওপর জোর দেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password