যে কারণে রেদোয়ানাকে হাসপাতালে হত্যা করেন স্বামী

যে কারণে রেদোয়ানাকে হাসপাতালে হত্যা করেন স্বামী যে কারণে রেদোয়ানাকে হাসপাতালে হত্যা করেন স্বামী

টাঙ্গাইল, ২৮ মার্চ – টাঙ্গাইল জেলা কালচারাল কর্মকর্তা খন্দকার রেদোয়ানা ইসলাম ইলুর (৩০) সঙ্গে মনোমালিন্য ছিল স্বামী মো. দেলোয়ার রহমান মিজানের (৪৫)। আর এ কারণেই রেদোয়ানাকে হত্যা করা হয় বলে জানা গেছে।

শনিবার বিকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতালে প্রসূতি ওয়ার্ডে স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন দেলোয়ার।

রেদোয়ানার পিতার নাম রফিকুল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি রংপুর জেলার রোমানতলা গ্রামে। তার স্বামীর নাম মো. দেলোয়ার রহমান মিজান। স্বামী মিজান একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা।

জানা যায়, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে নানা বিষয়ে দীর্ঘ দিন মনোমালিন্য ছিল। গত ২২ মার্চ প্রসব ব্যথা নিয়ে খন্দকার রেদোয়ানা ইসলাম ইলু হাসপাতালে ভর্তি হন। ৫ দিনের শিশু কন্যা রয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে তার স্বামী মিজান কুমুদিনী হাসপাতালে আসে স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে দেখতে। স্ত্রীকে হত্যা করে ঘাতক স্বামী পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বলেন, জেলা কালচারাল কর্মকর্তার হত্যার ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ছিল দীর্ঘ দিনের। এ নিয়ে জেলা পর্যায়ে মীমাংসার চেষ্টাও হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে এসে স্ত্রীকে এভাবে হত্যা করবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। ঘাতক স্বামী মিজানের কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।

এ ব্যাপারে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মির্জাপুর সার্কেল) দীপংকর ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে রেদোয়ানার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password