ওল্ড ডিওএইচএসকে হারিয়ে শির্ষস্থান ধরে রাখলো তামিম-বিজয়ের প্রাইম ব্যাংক

ওল্ড ডিওএইচএসকে হারিয়ে শির্ষস্থান ধরে রাখলো তামিম-বিজয়ের প্রাইম ব্যাংক

আজ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বিকেএসপির তিন নাম্বার মাঠে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা তামিম ইকবাল-বিজয়দের প্রাইম ব্যাংক মুখোমুখি হয়েছিল আট নাম্বারে থাকা ওল্ড ডিওএইচএসের। টস জিতে প্রাইম ব্যাংককে ব্যট করতে পাঠায় ডিওএইচএসের অধিনায়ক। তবে তার সিন্ধান্তকে সঠিক প্রমান করতে পারে নাই তার দলের বোলাররা। ওপেনিং জুটিতেই প্রাইম ব্যাংক অর্ধশত রান তুলে ফেলে। ব্যাক্তিগত ২৫ রানের সময় যখন জাতীয় ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল আউট হয়ে যান তখন প্রাইম ব্যাংকের সংগহ ৫১ রান।

তামিম আউট হয়ে গেলেও ইনফর্ম রনি তালুকদার ছিলেন দারুণ ছন্দে। তার ব্যাটে চড়েই বড় রানের ভীত পায় প্রাইম ব্যাংক। তুলে নেন চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় ফিফটি। দলীয় ৯৮ রানের মাথায় ৩৯ বলে ৫৪ রান করে রাকিবুল ইসলামের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। রনি আউট হয়ে যাওয়ার পর সাথে সাথে প্রাআইম ব্যাংকের অধিনায়ক বিজয় ১৫ রান করে বিদায় নেন। শেষদিকে মিথুন ১৬ রান করলেও প্রাইম ব্যাংকের কেউ ঝড়ো ইনিংস খেলতে না পারেনি ফলে ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৪৭ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। ওল্ড ডিওএইচএসের বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল ইসলাম ৪ ওভার বল করে ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট লাভ করেন।

১৪৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ইনফর্ম রাকিন আহমেদের (৯) উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ওল্ড ডিওএইচএস। বড় রান তারা করতে হলে যে পার্টনারশিপের দরকার হয় সেটাই করতে পারেনি ওল্ড ডিওএইচএসের ব্যাটসম্যানরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। একমাত্র জয় ছাড়া কেউ প্রাইম ব্যাংকের বোলারদের জবাব দিতে পারছিলেন না। অলক কাপালির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৭ বলে ২৬ রান করেন জয়। ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে ১২৫ রান সংগ্রহ করে ওল্ড ডিওএইচএস। ২২ রানে জয় নিশ্চিত হয় তামিম-বিজয়দের নিয়ে শক্তিশালী প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেটারের। জয়ের ২৬ ছাড়া রায়ান রহমান ২১ রান করেন ডিওএইচএসের পক্ষে। প্রাইম ব্যাংকের পেসার শরিফুল ইসলাম ৩টি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া মনির হোসেন, অলক কাপালি ও নাহিদুল ইসলাম ২টি করে উইকেট শিকার করেন। এই জয়ের ফলে তামিমদের প্রাইম ব্যাংক ৯ খেলায় ৭ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রাখলো।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password