জীবন বীমায় নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধে ব্যবস্থা নিন : মাববন্ধনে নেতৃবৃন্দ

জীবন বীমায় নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধে ব্যবস্থা নিন : মাববন্ধনে নেতৃবৃন্দ
MostPlay

একটি দেশ বা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয় জনগণের কল্যাণের জন্য। সেই রাষ্ট্রের গুটিকতক মানুষ যখন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে, তখন রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া যোগ্যদের কর্মক্ষেত্র তৈরীর লক্ষে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সচেতন নাগরিক সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত 'প্রাক্তন সদস্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বর্তমান জীবন বীমা কর্পোরেশনের এমডি জহিরুল হক গংদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে ৪০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রতিবাদ, দোষীদের গ্রেফতার ও পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে' ভুক্তভোগীসহ নাগরিক সমাজের মানববন্ধন কর্মসূচীতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সমাজে টিকে থাকার জন্য অপরাধের আশ্রয় নিতে হয় এই চিন্তা থেকে বেরিয়ে আনতে হবে। নিয়োগ বাণিজ্য সমাজ কাঠামোর দুর্বলতার ফল। মনে রাখতে হবে সামাজিক নিরাপত্তা বিধানের নিশ্চিতকরণ, যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের মাধ্যমেই বাংলাদেশ হবে স্বপ্নের সোনার বাংলা। অন্যত্থায় দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গঠন সম্ভব নয়। মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, তিনি বলেন, জীবন বীমা কর্পোরেশনে কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় ২০২০ সালে নভেম্বরে দুদকের চিঠির পরিপ্রেক্ষিত নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছিলো অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। দু:খজনক হলেও সত্য এখন ওই নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আরো ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

খোদ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. জহুরুল হক ও তার সিন্ডিকেট এই দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। প্রতিষ্ঠানটির উচ্চমান সহকারী, অফিস সহকারী এবং অফিস সহায়কের ৫১২টি পদে নিয়োগের প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে অন্তত ৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। যা সরকারের সকল অর্জনকে ধুলিস্যাৎ করে দিচ্ছে। তারা বলেন, এমসিকিউ পরিক্ষার যে প্রশ্ন ফাঁস হযেছে তার সাথেও কর্পোরেশেনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহুরুল হক ও তার সিন্ডিকেট জড়িত। প্রশ্নপত্র তৈরিসহ পরীক্ষার যাবতীয় দায়িত্ব পালন করার কথা ছিলো একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের।

ওই বিশ্ববিদ্যালয়টির সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি হয়েছে এবং চুক্তি অনুযায়ী তাদেরকে এজন্য অর্থও পরিশোধ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রশ্নপত্র তৈরিও করেছিলো। কিন্তু ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহুরুল হক তার তালিকার চাকরি প্রার্থীদের পাস করিয়ে দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতি কড়া শর্ত আরোপ করেন। যা সরকারের জন্য কলঙ্কজনক।

মানববন্ধন থেকে জীবন বীমা কর্পোরেশনের এমডি জহিরুল হক গংদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহনসহ, দোষীদের গ্রেফতার ও পরীক্ষা বাতিলের করে নতুন প্রশ্নপত্র প্রনয়ন করে পরিক্ষা গ্রহনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। সংগঠনের নির্বাহী সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম শুভ’র সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, গর্জো সভা প্রধান সৈয়দ মঈনুজ্জামান লিটু, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, অভিভাবকদের পক্ষে আনসার উদ্দিন রফিক-সহ ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান, আক্ততারুজ্জামান সুরুজ, রিমা সরকার, বিল্লাল হোসেন, উজ্জল কুমার রায়, মনিরুজ্জামান আকন প্রমুখ।

মানববন্ধন থেকে ১) বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে ২) প্রশ্নপত্র ফাঁসকৃত সকল পরীক্ষা বাতিল করতে হবে ৩) প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানানো হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password