প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা চাকরি পাবে না। চাকরি পাবে যতসব রাজাকারের বাচ্চা, নাতিপুতিরা?’ বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের হেয় করেছেন বলে দাবি তাদের। এই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

প্রধানমন্ত্রী চীন সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক বক্তব্যের জেরে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের একদফা দাবি ও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা— ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘কে রাজাকার কে রাজাকার, তুই রাজাকার তুই রাজাকার’, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, রাষ্ট্র কারো বাপের না’, ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘আমার স্বাধীন বাংলায়, একের কথা চলে না’, ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’, ‘লাখো শহীদের রক্তে কেনা, দেশটা কারো বাপের না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেন, আজকে আমাদের আন্দোলন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। সেই সাথে অতিদ্রুত সংসদে আইন তুলে কোটা সংস্কার পাশ করতে হবে। অন্যথায় আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। আরও বৃহৎ কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

এর আগে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম না যেতেই রাতেই বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। ছাত্রীদের হল বন্ধ থাকায় গেটের তালা ভেঙ্গে মিছিলে যোগ দেন তারা। অন্যপাশে ছাত্রলীগ অবস্থান করায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। রাত ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা ফিরে গেলে ২টার পর মিছিল করে ছাত্রলীগ।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password