আজ থেকে প্রায় ১৪ বছর আগে ক্রিকেটকে এক অসাধারণ অর্জন উপহার দিয়েছিলেন যুবরাজ সিং। আর ততটাই লজ্জা উপহার পেয়েছিলেন ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। পাঠক নিশ্চয়ই ধরে ফেলেছেন, এটা ছয় বলে ছয় ছক্কার গল্প। ১৪ বছর পর গতকাল আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দেখল ছয় বলে ছয় ছক্কা। নায়ক কায়রন পোলার্ড আর 'ভিলেন' আকিলা ধনাঞ্জয়া। এত বছর পর স্টুয়ার্ট ব্রড একজন 'লজ্জার সঙ্গী' খুঁজে পেলেন!
২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডকে এক ওভারে ছয় ছক্কা মেরেছিলেন ভারতের সাবেক হার্ডহিটার যুবরাজ সিং। ওই স্মৃতি নিয়ে এখনো আলোচনায় মেতে ওঠেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ছয় ছক্কা হজম করায় ব্রডকে অনেক তাচ্ছিল্য আর হাসাহাসির শিকার হতে হয়েছিল। তার মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ার দৃশ্য এখনো মিডিয়ায় দেখা যায়।
সেই ব্রডের ক্যারিয়ার কিন্তু থমকে যায়নি। টেস্টে ৫০০ উইকেট শিকার করেছেন। হয়ে উঠেছেন ইংল্যান্ডের অপরিহার্য বোলার। এত বছর পর গতকাল অ্যন্টিগায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আকিলা ধনাঞ্জয়ার ৬ বলে ছয় ছক্কা মারেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক কায়রন পোলার্ড। অবশ্য আগের ওভারেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন ধনাঞ্জয়া। ছয় ছক্কা খেয়ে ফিরতি ওভারে বল করতে এসে প্রথম বলে আবারও ছক্কা খান! মানে টানা ৭ বলে ছক্কা!
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যুবরাজ সিং ছাড়া শুধু হার্শেল গিবস এক ওভারে ছয় ছক্কা মারতে পেরেছিলেন। দুজন একই বছর- ২০০৭ সালে এই কীর্তি গড়েন। ওয়ানডে বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের ডানে ফন বাঞ্জের এক ওভারে ছয় ছক্কা মারেন সাবেক প্রোটিয়া গিবস। তবে ঘরোয়া আর আন্তর্জাতিক মিলিয়ে এক ওভারে ছয় ছক্কার রেকর্ড একজন ক্যারিবিয়ানের। ১৯৬৮ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম এই ইতিহাস গড়েন ক্যারিবীয় কিংবদন্তি স্যার গারফিল্ড সোবার্স।
গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ–শ্রীলঙ্কা টি–টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম ম্যাচে কাইরন পোলার্ডের ওভারে ছয় ছক্কা মারার পর ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ বলেছিলেন, ' গিবস ও যুবরাজ, তোমাদের এক সঙ্গী জুটে গেল!' তবে যুবরাজ নিশ্চয়ই নতুন সঙ্গীকে পেয়ে খুশি হতে পারবেন না। কারণ টি-টোয়েন্টিতে ছয় বলে ছয় ছক্কা মারা একমাত্র ব্যাটসম্যান তিনি আর রইলেন না। অন্যদিকে ব্রড অবশ্য খুশি হতে পারেন। কারণ তার মতো লজ্জা আরেকজনও পেল!
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন