বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সামনে দাড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে কটুক্তি

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সামনে দাড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে কটুক্তি

ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পন করার সময় ফরিদপুর সালথায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সামনে দাড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে দালাল বলে কটুক্তি করলেন সালথা উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান।

এই লাঞ্চিত করার বিষয় উল্লেখ করে সালথা উপজেলা শাখার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবর অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ মিজানুর রহমান। তিনি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানাধীন পুরাপাড়া ইউনিয়নের পুরাপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ মালেক মিয়ার ছেলে। বর্তমানে সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের কামাইদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার সময় ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাস্থল হইতে ধারণকৃত একটি ভিডিওতে সালথা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান ও সিংহপ্রতাপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ সাহেবুল ইসলামকে উত্তেজিত অবস্থায় দেখা যায়।

এ নিয়ে পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুঞ্জন উঠলে উক্ত সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান নিজেদের অপরাধ লুকানোর উদ্দেশ্যে বিষয়টি অস্বীকার করে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির প্যাডে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করে উক্ত সমিতির সভাপতি সৈয়দ নাজমুল হোসেন ও মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি পত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ মিজানুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি সালথা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে দেওয়া তালিকা অনুযায়ী আমাকে দেওয়া দায়িত্ব পালন করাকালে পুষ্পস্তবক অর্পন করার উদ্দেশ্যে ঘোষণা করা কালে জানিনা কি কারনে তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। এ সময় তিনি এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে উপযুক্ত বিচার দাবী করেন।

এ বিষয়ে সালথা উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান এর কাছে মুঠোফোনে তার মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য দেন না। এ বিষয়ে সালথা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি মাহবুব হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।

সেই সাথে তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ তাছলিমা আকতার বলেন, মোঃ মিজানুর রহমান একজন প্রধান শিক্ষক তার উপর লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে যেটা পরবর্তীতে জানতে পারি। উভয় পক্ষ থেকে আবেদন পেয়েছি। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নিব।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password