নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে মা জাহিদাকে (৬০) শিলপাটা দিয়ে আঘাত করে হত্যার পর গোপনে কবর দেওয়ার প্রস্তুতি চলার সময় ছেলে ও ছেলের স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার দিঘা গ্রামের মৈত্রীপাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। আটকৃতরা হলেন, জাহিদার ছেলে জাহিদুল ইসলাম ও জাহিদুলের স্ত্রী রহিমা খাতুন। নিহত জাহিদা দিঘা গ্রামের মৃত হারান প্রামানিকের স্ত্রী।
আত্রাই থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, শুক্রবার ভোর রাতে তাদের গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কলহের জেরে বাকবিতান্ডা শুরু হয়। এমতাবস্থায় মা জাহিদাকে শীলপাটা দিয়ে মাথায় আঘাত করেন তার ছেলে জাহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রহিমা খাতুন। এতে তিনি ঘটনাস্থালেই মারা যান জাহিদা। এরপর কাউকে না জানিয়ে মা জাহিদা স্বাভাবিকভাবে মারা গেছে বলে প্রচার করে ছেলে জাহিদুল।
এ সময় নিজ আত্মীয়দের ছাড়া স্থানীয়দের মরদেহ দেখতেও দেননি। এদিকে জাহিদুল তার মাকে কবর দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। এতে প্রতিবেশীদের সন্দেহ দেখা দেয় জাহিদুলের চলাফেরা ও কথোকথনে। এমতাবস্তায় প্রতিবেশীরা জোর করে জাহিদার মরদেহ দেখে মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। ঘটনাটি জানতে পেরে প্রতিবেশীরা পুলিশে সংবাদ দেন।
থানা ওসি আরো জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে জাহিদার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ সময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ছেলে জাহিদুল ইসলাম ও জাহিদুলের স্ত্রী রহিমা খাতুন শীলপাটা দিয়ে আঘাত করার স্বীকার করেন। এ ঘটনায় ছেলে জাহিদুল ও তার স্ত্রী রহিমাকে আটক করা হয়েছে। আর নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন