বাংলাদেশের ক্রিকেটের বিতর্কিত চরিত্রগুলোর একটি সাবেক পেসার শাহাদাত হোসেন রাজীব। একের পর এক অপকর্ম করে ক্যারিয়ারের বারোটা বাজিয়েছেন। ২০১৯ সালে জাতীয় লিগের ম্যাচে মাঠেই সতীর্থ ক্রিকেটারের গায়ে হাত তোলার অপরাধে শাহাদাত হোসেন রাজীবকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বা বিসিবি। সেইসঙ্গে ৩ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। সেই নিষেধাজ্ঞার দেড় বছর না যেতেই এবার বিসিবির কাছে সাজা কমানোর আবেদন করেছেন শাহাদাত।
এরপর থেকেই তিনি নানাভাবে ব্যক্তিগত জীবনের ঘটনা মিডিয়ায় বলে সবার সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সংকটে ভূগছেন। দুই বছর ধরে না খেলায় তার হাতে টাকা-পয়সাও নেই। ক্রিকেট ছাড়া তার অন্য কোনো রোজগারও নেই। তাই মায়ের মায়ের চিকিৎসার অর্থ জোটাতে তিনি ব্যক্তিগত গাড়িটাও বিক্রি করেছেন। সেইসঙ্গে জার্মান প্রবাসী তার ভাইও আর্থিক সহায়তা করছেন।
বয়স ৩৬ হয়ে গেলেও শাহাদাত এখনো ৪-৫ বছর খেলার স্বপ্ন দেখেন। বিসিবির কাছে সাজা কমানোর আনুষ্ঠানিক আবেদন করার পর থেকে বিভিন্ন মিডিয়ায় তিনি বিসিবির কাছে অনুরোধ করে যাচ্ছেন। সোশ্যাল সাইটে সিংহভাগ ক্রিকেটপ্রেমী বলছেন, শাহাদাত মায়ের কথা বলে 'ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল' এর মাধ্যমে ক্রিকেটে ফিরতে চাইছেন। ক্রিকেটপ্রেমীদের মতে, তার মায়ের জন্য অবশ্যই বিসিবির পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা করা যেতে পারে, তবে শাহাদাতকে ক্রিকেটে আর নয়।
শাহাদাতের প্রতি ক্রিকেটপ্রেমীদের এই ক্ষোভের সবচেয়ে বড় কারণ, শিশু গৃহকর্মীকে ভয়াবহ নির্যাতন। ৩৮টি টেস্ট, ৫১টি ওয়ানডে ও ৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা এই পেসারকে ২০১৫ সালের পর তাকে আর জাতীয় দলে দেখা যায়নি। ২০১৬ সালে গৃহকর্মীর ওপর নির্মম নির্যাতন করে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এরপর আবারও ২০১৯ সালে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে জাতীয় লিগের ম্যাচে স্পিনার আরাফাত সানিকে মারধর করে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা পান।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন