সৌদি আরব ১৫০০ কোটি টাকা ঢালছে রিয়াল মাদ্রিদে

সৌদি আরব ১৫০০ কোটি টাকা ঢালছে রিয়াল মাদ্রিদে

ফুটবলে মধ্যপ্রাচ্য বেশ আগেই ঢুকেছে। ম্যানচেস্টার সিটি ও পিএসজির সৌজন্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার ফুটবলে এখন বেশ পরিচিত নাম। বিশ্বে নিজেদের ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য ইউরোপের একটা ফুটবল পরাশক্তিকে পাশে পাওয়াটা কত কাজে লাগে, সেটা বুঝতে পেরেছে সৌদি আরবও। সে কারণেই ইউরোপের সবচেয়ে সফল দলের সঙ্গী হতে চাইছে তারা। রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে সৌদি আরবের একটি ব্যবসায়িক দল।

দ্য টাইমসের সুবাদেই জানা গেছে এ খবর। পত্রিকাটা দাবি করেছে, সৌদি আরবের মালিকানাধীন কিদ্দিয়া প্রকল্পের সঙ্গে চুক্তির কথাবার্তা চলছে। টাইমসের দাবি, স্পেনের চ্যাম্পিয়নদের ১৫ কোটি (প্রায় ১ হাজার ৫৩৯ কোটি টাকা) ইউরো দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে সৌদির এ ব্যবসায়িক দল।

ইউরোপিয়ান ফুটবলের সঙ্গে জড়িত হওয়ার চেষ্টা সৌদি আরবের নতুন নয়। প্রিমিয়ার লিগে নিউক্যাসলের মালিক হতে যাচ্ছেন সৌদি যুবরাজ, এমন এক খবর গত মৌসুমে ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগের দল কেনা হয়নি তাদের। এর চেয়ে স্প্যানিশ ফুটবলেই মন দিয়েছেন। সরাসরি কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত না হয়ে স্পেনের দুই পরাশক্তিকেই নিজেদের কাছে যেতে বাধ্য করেছে। স্প্যানিশ সুপার কাপের নিয়ম বদলে চার দলের টুর্নামেন্টের জন্ম দেওয়া হয়েছে এবং তিন বছরের জন্য সেটি সৌদি আরবে আয়োজনের চুক্তি করেছে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন। ২০১৯-২০ মৌসুমের স্প্যানিশ সুপার কাপ সৌদি আরবেই হয়েছিল। প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক কোনো ম্যাচ ইউরোপের বাইরে খেলেছে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ।

করোনার কারণে চুক্তি থাকা সত্ত্বেও এবারের স্প্যানিশ সুপার কাপ সৌদি আরবে হয়নি। কিন্তু স্পেনের ফুটবলের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক এতে মোটেও দুর্বল হচ্ছে না। বরং টাইমসের খবর যদি সত্যি হয়ে থাকে, রিয়ালের মতো পরাশক্তির সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদে জড়িয়ে যাচ্ছে সৌদি আরবের নাম।

করোনায় আর্থিকভাবে বড় ধাক্কা খেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। দলবদলের বাজারে কোনো খরচ করেনি তারা। তবু খেলোয়াড়দের বেতন কমাতে হয়েছে। এর সঙ্গে স্টেডিয়াম পুনর্নির্মাণের খরচ তো আছেই। ফলে জরুরি ভিত্তিতে অর্থ জোগাড়ে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ।

আর এ সুযোগই নিতে চাইছে সৌদি আরব। দেশটির রাজধানী রিয়াদের পাশেই বিশাল এক প্রকল্প সৃষ্টি করা হচ্ছে। কিদ্দিয়া নামের সে প্রকল্পকে বিনোদনের মহাপ্রকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সৌদি আরবের নতুন ভাবমূর্তি সৃষ্টির গুরুত্বপূর্ণ অংশ এ কিদ্দিয়া প্রকল্প। সে প্রকল্পের প্রচারেই ব্যবহার করা হবে রিয়ালকে।

এ ব্যাপারে ফাঁস হওয়া নথিতে লেখা রয়েছে, ‘চুক্তি অনুযায়ী রিয়ালের মেয়েদের দলের মূল স্পনসর হবে কিদ্দিয়া। এর ফলে সৌদি আরবে গিয়ে খেলার জন্য মেয়েদের উৎসাহিত করবে দলের খেলোয়াড়েরা।’ টাইমসের দাবি, সৌদি আরবের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে ফাঁস হওয়া নথিতে রিয়াল মাদ্রিদ ও কিদ্দিয়া প্রকল্পের মধ্যে বোঝাপড়া চুক্তি হয়ে গেছে।

৬৫০ কোটি ইউরোর এ প্রকল্পকে স্পনসর হিসেবে পেলে রিয়াল মাদ্রিদের মূল স্কোয়াডের অন্তত চারজন খেলোয়াড়কে কিদ্দিয়া প্রকল্পের প্রচার করতে হবে। এখন পর্যন্ত এ খবরের ব্যাপারে দুই পক্ষের কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password