জেমকন খুলনা: ১৪৬/৬ (২০ ওভার) (আরিফুল ৪১*, শামীম ৩৫, আনামুল ২৬, শহীদুল ১৭; মুগ্ধ ২/৪৪)মিনিস্টার রাজশাহী: ৯১/৩ (১১ ওভার) (শান্ত ৫৫, রনি ২৬, ফজলে মাহমুদ ২৪, আশরাফুল ২৫*; রিশাদ ২/৩৪)
তারকাবহুল জেমকন খুলনার বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে মিনিস্টার রাজশাহী। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর দুর্দান্ত ফিফটি, রনি তালুকদারের দারুণ সঙ্গ ও শেষে মোহাম্মদ আশরাফুলের ফিনিশিংয়ে সাকিব-মাহমুদউল্লাহর খুলনাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে রাজশাহী।
কাগজে-কলমে যদিও শক্তিশালী দল ছিল মাহমুদউল্লাহর জেমকন খুলনা। তবে নাজমুল হোসেন শান্তর মিনিস্টার রাজশাহী ম্যাচে আধিপত্য দেখিয়ে জয় তুলে নিয়েছে। খুলনার দেওয়া ১৪৭ রানের লক্ষ্য ১৬ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে জিতেছে রাজশাহী। যার বেশিরভাগ কৃতিত্ব অবশ্য রাজশাহী অধিনায়ক শান্তর। ৩৪ বলে ৫৫ রানের দারুণ ইনিংসে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। তাকে ২৬ রান করে সঙ্গ দিয়েছিলেন রনি তালুকদার।
তবে এই দুই ব্যাটসম্যান ফেরার পর মোহাম্মদ আশরাফুল ও ফজলে মাহমুদের ব্যাটে জয় তুলে নিতে কোনো বেগ পেতে হয়নি রাজশাহীকে। ফজলে মাহমুদ ২৪ রানে শহীদুলের বলে ফিরলেও আশরাফুল ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। জাতীয় দলের এই তারকা ২২ বলে অপরাজিত ২৫ রান করে দলকে জিতিয়ে ফেরেন। তার সঙ্গে ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন নুরুল হাসান সোহানও।
এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচে জয়ের দেখা পেলো আসরের আন্ডারডগ টিম রাজশাহী। ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তারা। এদিকে তারকাবহুল খুলনা প্রথম ম্যাচে নাটকীয় জয়ের পর পেলো পরাজয়ের স্বাদ।
১৪৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ১১ ওভার শেষে রাজশাহীর সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৯১/৩। আগের ম্যাচে দারুণ খেলা আনিসুল ইমন অবশ্য এই ম্যাচে মাত্র ২ রান করে ফেরেন। তবে দ্বিতীয় উইকেটে রনি তালুকদারের সঙ্গে শান্ত ৪৭ রানের জুটি গড়ে খেলা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেন রাজশাহী অধিনায়ক শান্ত।
এরপর রনি ২৬ রান করে রিশাদ হোসেনের বলে শামীমের তালুবন্দী হয়ে ফেরেন। তবে অধিনায়ক শান্ত ৩২ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে দলকে রেখেছেন চালকের আসনে। যদিও ৫৫ রান করে রিশাদের বলে এলবির শিকার হয়ে ফেরেন তিনি।
মাঠে এই মুহূর্তে আছেন তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল। প্রথম বলে চার হাঁকানো আশরাফুল ৫ রানে অপরাজিত আছেন। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন ফজলে মাহমুদ রাব্বী।
এর আগে বড় স্কোর করার লক্ষ্যে টস জিতে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমেছিল জেমকন খুলনা। কিন্তু দলের সিনিয়র দুই ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব আল হাসানের ব্যাট হাসেনি। আগের ম্যাচের নায়ক আরিফুল হকের ব্যাটে শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৪৬ রান করেছে তারা।
৫১ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়ে খুলনা। টপ অর্ডারে ওপেনার এনামুল হক সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন। পঞ্চম ওভারে সাকিবের ১২ রানের ইনিংস শেষ হয় মুকিদুল ইসলামের বলে ফরহাদ রেজার ক্যাচ হয়ে। তার ৯ বলের ইনিংসে ছিল দুটি চার। ওপেনার ইমরুল কায়েস টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ডাক মারেন।
খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ৭ রান করে আরাফাত সানির বলে ফিরতি ক্যাচ তুলে দেন। আগের ম্যাচে তিনি করেছিলেন ১৭ রান। পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ধুঁকতে থাকা খুলনাকে উদ্ধার করেন আরিফুল। বরিশালের বিপক্ষে শেষ ওভারে চারটি ছয় মেরে দলকে জেতানো এই ব্যাটসম্যান ৩১ বলে করেন অপরাজিত ৪১ রান। দুটি চার ও তিনটি ছয়ে সাজানো ছিল তার ইনিংস।
শামীম হোসেনের (৩৫) সঙ্গে ইনিংস সেরা ৪৯ রানের জুটি গড়েন আরিফুল। সপ্তম উইকেটে শহীদুল ইসলামকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৪৬ রানের জুটি গড়ে দলীয় স্কোর দেড়শর কাছাকাছি নেন তিনি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন