বৃষ্টির আগে ফিলিপসের ২৭ বলে হাফসেঞ্চুরি

বৃষ্টির আগে ফিলিপসের ২৭ বলে হাফসেঞ্চুরি

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভালো বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডের রাশ টেনে ধরার চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু গ্লেন ফিলিপসের ঝড়ো ব্যাটে ভালো সংগ্রহ পেয়েছে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় দফা বৃষ্টি হানার আগে ১৭.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। এখন বন্ধ রয়েছে খেলা। নেপিয়ারে শুরুতে টস জেতে বাংলাদেশ। প্রথম টি-টোয়েন্টি হেরে যাওয়ায় সিরিজ বাঁচাতে এই ম্যাচ জয়ের বিকল্প নেই। এর ওপর নেপিয়ারের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াও ভাবিয়েছে সফরকারীদের। তাই টস জিতে শুরুতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।

প্রথম দিনে মনে হচ্ছিল ফিন অ্যালেন ও মার্টিন গাপটিল জুটিই সর্বনাশ ডেকে আনবে সফরকারীদের। তাদের ঝড়ো সূচনাতেই পাওয়ার প্লেতে ভালো রান পায় নিউজিল্যান্ড। কিন্তু পাওয়ার প্লের মাঝে তাদের বিদায় দিয়েছে সফরকারী বোলাররা।

সবচেয়ে বেশি ঝড়টা ছিল তাসকিনের চতুর্থ ওভারে। অ্যালেন ও গাপটিল একটি করে ছয় মারেন। একবার অবশ্য অ্যালেনকে জীবন দেন মাহমুদউল্লাহ। তাসকিনের বল উড়িয়ে মারলেও ক্যাচ নিতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। তবে শেষ বলে কোনও ভুল করেননি নাসুম। তাসকিনের এই ওভারেই ১০ বলে ১৭ রানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অ্যালেন।

ষষ্ঠ ওভারে ফেরেন গাপটিলও। হাত খোলার চেষ্টায় ছিলেন কিউই ব্যাটসম্যান। কিন্তু সাউফউদ্দিনের বলে এক হাতেই তার অসাধারণ ক্যাচ নিয়েছেন তাসকিন। গাপটিল ফেরেন ২১ রানে। পরের ওভারের প্রথম বলে শরিফুলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তালুবন্দি হন কনওয়ে। কিউই ব্যাটসম্যান ফেরেন ৯ বলে ১৫ রানে। যেটি ছিল শরিফুলের প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেট। দ্রুত তিন উইকেট পড়ে যাওয়ায় শ্লথ হয়ে পড়েছিল রানের চাকা।

তবে বৃষ্টি হানার আগে কিছু শটস খেলে আবারও কিউইদের টেনে তোলার চেষ্টা করছিলেন ফিলিপস ও উইল ইয়ং। সেই ইয়ংকেই (১৪) অসাধারণ ঘূর্ণিতে সাজঘরে ফিরিয়েছেন মেহেদী।  অবশ্য এর আগেও বাজে ফিল্ডিংয়ের উদাহরণ রেখেছিল সফরকারীরা।

১০.২ ওভারে নাসুমের ওভারে রান আউটের সুযোগ ছিল লিটন দাসের। কিন্তু কিপিংয়ে দাঁড়ানো লিটনের থ্রো লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় বেঁচে যান নক স্ট্রাইকে থাকা ইয়ং! পরে অবশ্য সেই লিটনই স্পিনার মেহেদীর বলে স্টাম্পড করেন ইয়ংকে।

২০-২৫ মিনিটের মতো খেলা বন্ধ থাকার পর খেলা গড়ালে কিউইদের চাপে ফেলে দিয়েছিলেন মেহেদী। ১৪তম ওভারে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে চ্যাপম্যানকে (৭) বিদায় দেন এই অফস্পিনার। কিন্তু সেই চাপ কাটিয়ে শেষ দিকে বিধ্বংসী ভঙ্গিতে খেলতে থাকেন গ্লেন ফিলিপস। সঙ্গ দেন ড্যারিল মিচেল। ৩১ বলে ৫৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন ফিলিপস। ২৭ বলে পূরণ করেন হাফসেঞ্চুরি। ১৬ বলে ৩৪ রানের মিনি ঝড় তুলেন মিচেল। ফিলিপসের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও দুটি ছয়। মিচেলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password