কাশ্মীর সীমান্তে ফের পাক গোলাবর্ষণ

কাশ্মীর সীমান্তে ফের পাক গোলাবর্ষণ

মঙ্গলবারের পর বুধবার ফের সংঘর্ষচুক্তি লঙ্ঘন করে সীমান্তে গোলাবর্ষণ করল পাক সেনা। জম্মু-কাশ্মীরের বান্দিপোরায় নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর মঙ্গলবার রাতে ফের গোলাগুলি চালায় পাকিস্তান। যদিও সেখানে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ধেয়ে এল পাকিস্তানের গুলি। তাতে বিদ্ধ হয়ে শহিদ হলেন এক ভারতীয় জওয়ান। বুধবার রাজৌরির নৌশেরা সেক্টরে ঘটনাটি ঘটে।

প্রতিরক্ষা দফতরের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, বুধবার রাজৌরির জেলা সংলগ্ন বেশ কয়েকটি সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে গোলাগুলি চালাতে থাকে পাকিস্তানি সেনা। পালটা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। এর পর নিহত হয় এক ভারতীয় সেনা জওয়ান। এই নিয়ে সপ্তাহে ২ জনের মৃত্যু হল বলে জানা গিয়েছে।

এর আগে ৩১ অগস্ট (সোমবার) রাতে রাজৌরি জেলার নিয়ন্ত্রণ রেখায়, নৌশেরা সেক্টরে পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে। রাত সওয়া ৯টা নাগাদ পাকসেনা মর্টার সেল ছোড়ার পাশাপাশি ছোট আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলিও চালায়। সেনার এক আধিকারিক জানান, ,সোমবার রাত সওয়া ৯টা পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি না মেনে নৌশেরা সেক্টরে গোলাগুলি চালালে, ভারত তার উপযুক্ত জবাব দেয়।

এর আগে ৩০ অগস্ট বারামুলা জুড়ে তল্লাশি অভিযান চালায় সেনার চিনার কর্পস। মূলত চিরুনি তল্লাশি চলে বানালি জঙ্গলে। উদ্ধার করা হয় প্রচুর অস্ত্র। এর মধ্যে ছিল ৭৪ রাউন্ড গুলি, ১টি চিনা পিস্তল, ২টি একে ৪৭ রাইফেল, ১টি ম্যাগাজিন, ১০টি গ্রেনেড ও পিস্তলের ৩৮ রাউন্ড গুলি। এর পর ২৯ অগস্ট রাতভর জম্মু-কাশ্মীরের পন্থ চকে চলে গুলির লড়াই। তাতেই নিকেশ হয় তিন জঙ্গি। নিহত হন এক পুলিশকর্মীও। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই দিন রাতে শ্রীনগরের পন্থ চক এলাকায় আচমকা গুলিবর্ষণ শুরু করে তিন জঙ্গি। খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছয় বাহিনী। দু'পক্ষের মধ্যে শুরু হয় গুলির লড়াই । গভীর রাত পর্যন্ত চলে সেই সংঘর্ষ। অবশেষে ভোররাতে খতম হয় ৩ সন্ত্রাসবাদী। জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে মারা গিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক এএসআই।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password