কোম্পানীগঞ্জের মাটিতে ওবায়দুল কাদের আসতে পারবেন না: কাদের মির্জা

কোম্পানীগঞ্জের মাটিতে ওবায়দুল কাদের আসতে পারবেন না:  কাদের মির্জা

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে হুঁশিয়ারি করে তারই ছোট ভাই নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা করে বলেছেন, দুর্নীতিবাজ ডিসি, এসপি, এএসপি সার্কেল, ইউএনও, ওসি, ওসি তদন্ত দিয়ে আমাকে পিটাবেন। মেরে ফেলবেন? ফেলুন। মনে রাখবেন এ কোম্পানীগঞ্জের মাটি থেকে একদিন আপনার অস্তিত্ব বিলিন হয়ে যাবে।

কোম্পানীগঞ্জের মাটিতে আপনি (ওবায়দুল কাদের) আসতে পারবেন না। প্রয়োজনে আমার রক্ত ঝরবে, আমার পরিবারের সদস্যদের রক্ত ঝরবে, আপনাকে কোম্পানীগঞ্জের মাটিতে আসতে দেব না।শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে নিজের অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে আবদুল কাদের মির্জা এসব কথা বলেন।

মির্জা সেতুমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমি এখন বসুরহাট পৌরসভাতে অবরুদ্ধ। এখানে একরামের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসী, পুলিশ, এএসপি সার্কেল শামীমের নেতৃত্বে আমার পৌরসভা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। পৌরসভায় কোনো মানুষকে উঠতে দিচ্ছে না। সবাইকে পুলিশ বাধা দিচ্ছে, এটা কার নির্দেশে হচ্ছে? এটা বসুরহাট পৌরসভার মানুষ জানতে চায়। আজ ওবায়দুল কাদের আমার ছেলেদের কোনো খোঁজখবর নিচ্ছে না। বরং ওবায়দুল কাদের আমার বিরুদ্ধে এখানে পুলিশ ও সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়েছে।

নিজের দুর্নীতিবাজ স্ত্রী ইসরাতুন্নেছা কাদেরকে বাঁচাতে তিনি ব্যস্ত কিন্তু তার স্ত্রী বাঁচতে পারবে না। ওবায়দুল কাদের তার কী স্বার্থ, সে-কী চায়, আমাদেরকে হত্যা করতে? এটার পরিণতি অত্যন্ত ভয়ানক হবে, বলে দিচ্ছি। তোমার পুলিশ প্রশাসন সামলাও ওবায়দুল কাদের। বলে দিচ্ছি, তুমি জেলে দিবে, আমাকে হত্যা করবে, তোমায় (কাদের) আমরা পরোয়া করি না। তোমার খাইও না, পরিও না।

তোমার কারণে আমার একটি ভাই গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। আজকে তোমার স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন হাজার হাজার কোটি টাকা মালিক হয়েছে। আমার কর্মীদের চাকরি দিবে বলেছিলে কিন্তু একটা ছেলেও চাকরি পায়নি। এখানে গ্যাস নেই, উন্নয়ন নেই। যে উন্নয়ন হয়েছে তা নেত্রী শেখ হাসিনার কারণে হয়েছে।

মির্জা বলেন, আপনার (ওবাদুল কাদের) স্ত্রী ২০ লাখ টাকা দামের শাড়ি পড়ে, আর আমার গরিব মানুষ ২শত টাকার জন্য ছেঁড়া কাপড় পরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। এটাকি চলতে দেওয়া যায়, এ জন্য কি বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছে? আমার ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেন অর্থের অভাবে আত্মহত্যা করেছে, আরেক ভাই ফজলুল কাদের মিন্টু শিক্ষকতা পেশা শেষ করে ২৫ লাখ টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন, এখন ফ্ল্যাটের টাকা দিতে পারছেন না। তাকে বের করে দেওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমার অন্য ভাই শাহাদাত হোসেন কোটি টাকার ওপরে দেনা। আমার অবস্থাও করুণ। ওবায়দুল কাদের এসবের খবর নিচ্ছেন না।

কাদের মির্জা আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালীর একরামুল করিম চৌধুরী ও ফেনীর নিজাম উদ্দিন হাজারীকে এমপি পদে দলীয় নমিনেশন দিলে প্রমাণ হয়ে যাবে আওয়ামী লীগ অপরাজনীতি করে। আমার মনে হয় আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে আর প্রার্থী দেবেন না। গতকাল বৃহস্পতিবার আমার ছেলেটাকে মারা হলো, আমার পৌরসভায় আক্রমণ হলো, উল্টো আমার ছেলেদের গ্রেপ্তার করতেছে পুলিশ। ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে ওসি মীর জাহেদুল হক রনি আমাদের অভিযোগ গ্রহণ করেনি। অথচ সন্ত্রাসী খুনি বাদল বাহিনীর অভিযোগ গ্রহণ করেছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password