আসিফ আকবরের গিটার ভেঙে ফেলেছেন নোবেল

আসিফ আকবরের গিটার ভেঙে ফেলেছেন নোবেল

বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না জি বাংলার সংগীত রিয়েলিটি শো থেকে পরিচিত পাওয়া মাইনুল আহসান নোবেলের। একের পর এক বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। গতকাল তিনি তার কর্মকান্ডের জন্য ভুল স্বিকার করেন এবং কথা দিয়েছেন ভবিষ্যতে তিনি আর এরকম ভুল করবেন না। এই খবরের রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন এক বিতর্কে জড়িয়ে গেছেন নান ঘটনায় বিতর্কিত গায়ক নোবেল। এবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি  জনপ্রীয় সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবরের গিটার ভেঙে ফেলেছেন। অথচ নান সময়ে বিতর্কে জড়ানো নোবেলকে বিপদের সময় অনেক সমর্থন করেছেন আসিফ আকবর। সেই নোবেল কিনা এবার আসিফ আকবরের গিটার ভেঙে ফেললেন। আসিফ আকবরের গিটার ভেঙে ফেলার অভিযোগটি করেছেন সাংবাদিক নবীন হোসেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীও ছিলেন আসিফের প্রিয়জন এবং সাংবাদিক নবীন হোসেন। নবীন হোসেন ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সেদিনের ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেছেন এবং ভাঙা গিটারের দুটি ছবিও দিয়েছেন। নবীন হোসেনের ফেসুবক স্ট্যাটাস হুবহু তুলে ধরা হলো :

একটি ভাঙ্গা গিটার।এখন এটার কি মূল্য আছে? আবার কোন মূল্যই যদি না থাকে তাহলে দেশের অন্যতম সেরা একজন গায়কের মন গিটারটার জন্য কেন ভাঙ্গবে?

এবার একটু ভেঙ্গেই বলি।

গিটারটাতে স্পর্শ রয়েছে ( পড়ুন বাজিয়েছেন ) লাকী আকন্দ, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, মানাম আহমেদ, পিন্টু দা, শওকত আলী ইমন, এস আই টুটুলসহ অনেক রথি মহারথি। এই গিটারেই সুর উঠেছে অনেক জনপ্রিয় গানের।গিটারটির মালিক আসিফ আকবর। গিটারটি ভেঙ্গেছে সময়ের বিতর্কিত গায়ক নোবেল।

কাহিনীর বণর্নায় লেখাটা একটু বড় হলেও পুরো ঘটনা পড়তে মনে হয় খারাপ লাগবে না।কারন কাহিনীর স্বাক্ষীরা মিডিয়ার বেশ চৌকস কর্মী।

১৫ মে ২০২১।

ফোনে আসিফের অবস্থান জানতে চায় নোবেল। আসিফ তখন পরিবার নিয়ে বাইরে। এটা জানার পর নোবেল আসিফের গিটারটা চায়। আসিফ তাকে অফিসে গিয়ে নিয়ে যেতে বলে।পারিবারিক কাজ শেষে আসিফ যখন অফিসে আসে তখনও নোবেল আসেনি।আসিফ তার অফিস ম্যানেজার মেহেদীকে আমার সামনে বলে- নোবেল আসলে গিটার দিয়ে দিও, এখন ওর সাথে দেখা করতে ইচ্ছে করছে না।

এরমাঝে আসিফের অফিসে দফায় দফায় চলে এসেছে- কিশোর দাশ, ফেরারী ফরহাদ, নির্মল সরকার, আলতাফ সিদ্দিকীসহ অনেকে।আছেন হালের মিউজিক মুঘল হিসেবে পরিচিত একজন প্রযোজক ও গায়ক।

সিসি ক্যামেরায় দেখা গেলো নোবেল ঢুকলো।মেহেদী নোবেলকে গিটার দিয়ে চলে যেতে বললো।নোবেল মেহেদীকে উপেক্ষা করে ড্রয়িং রুমে বসলো। ভেতর থেকে গিটার বাজানোর শব্দও শোনা যাচ্ছিলো। পাছে হুট করে নোবেল আবার রুমে ঢুকে না যায় সে কারনে আসিফ তার বাথরুমে ঢুকে গেলো (আদতে বাথরুমে লুকানোর জন্য ঢুকলো)।মিউজিক মুঘল (সংগীতাঙ্গনের অতি নিরিহ ও অন্যতম সেরা ভদ্রলোক বলে নাম বললাম না) রুমের দরজা হাত দিয়ে চেপে ধরে দাড়িয়ে আছে। সে কি দৃশ্য!

এভাবে কেটে গেলো মিনিট কুড়ি । আমার দায়িত্ব পড়লো নোবেলকে চলে যাওয়ার রাস্তা সুগম করার।

আমাকে দেখেই নোবেল বললো-ভাইয়া দেখেন মেহেদীর কত বড় সাহস আমাকে চলে যেতে বলে।আমি আমার বাপের অফিসে এসেছি। একটু বসতে পারবো না?

আমি মেহেদীকে দিয়ে সরি বলালাম।

ইন্টারকাট শট

আসিফ বাথরুমে লুকানো, মিউজিক মুঘল গেট ধরে উপুড় হয়ে দাঁড়ানো ।

আরও মিনিট বিশেক পর নোবেল চলে গেলো।

ঐ রাতে কেবল হাসাহাসিই হয়েছে।কারণ আসিফ কারো জন্য বাথরুমে লুকাবে আর মিউজিক মুঘল দরজা চেপে দাড়িয়ে থাকবে-এমন ঘটনা সত্যিই লেখার খোরাক।

১৬ মে ২০২১।

রাত ১১ টার কাছাকাছি হবে।আসিফের অফিসে যথারীতি ১০/১২ জন আগন্তুক।হুট করেই রুমে ঢুকলো নোবেল। তার হাতে দুভাগ হয়ে থাকা গিটার। সোফায় ভাঙ্গা গিটারটা রেখেই আসিফকে উদ্দেশ্য করে বলল-বস।গিটারটা ভেঙ্গে গেছে।সরি।আমি যাই।

সব মিলিয়ে ৪০ সেকেন্ডও থাকেনি নোবেল।ভাঙ্গা গিটার দেখে আমাদের হতভম্ব ভাব কাটার আগেই নোবেল পগার পার।

আসিফের অফিস ক্ষনিকের জন্য স্তব্ধ।এক পলকে গায়ক তাকিয়ে আছে তার যুগ ধরে আগলে রাখা গিটারের দিকে।

পাশ থেকে কে যেন ধীর লয়ে বলল- একজন শিল্পীর জন্য সংগীতানুসঙ্গ হলো পরম শ্রদ্ধার।সেটা ভাঙ্গার পরও কোন অনুশোচনা যার মধ্যে নেই তার কাছে কিছু আশা করাই বোকামী।

বি.দ্র. দয়াকরে পোস্টটিকে কেউ ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না। অনেক ঘটনাই আমাদের চারপাশে ঘটে যা লেখা হয় না বা লেখা যায় না। আবার কিছু ঘটনা স্বাক্ষী প্রমানসহ না লিখলে প্রকৃত সত্য বিকৃত হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password