মাহমুদউল্লাহই জেতালেন জেমকন খুলনাকে

মাহমুদউল্লাহই জেতালেন জেমকন খুলনাকে

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি লীগের প্লেয়ার ড্রাফটের আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাই প্লেয়ার ড্রাফটে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ককে নেওয়ার ‍সুযোগ পেয়েও নেয়নি মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। সেই সুযোগেই তাকে দলে ভেড়ায় জেমকন খুলনা। এরপর তার হাতেই তুলে দেওয়া হয় দলের দায়িত্বভার।

টুর্নামেন্টের শুরুতে দলের পাশাপাশি নিজের পারফরম্যান্স খানিকটা অনুজ্জ্বল হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে ফিরে পেতে থাকেন দেশের অনেক অবিস্মরণীয় জয়ের এই নায়ক। তবে সেরাটা যেন তিনি তুলে রেখেছিলেন ফাইনালের জন্য।  

এদিন একদিকে দলে ছিলেন না সেরা অস্ত্র বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার ওপর টসে হেরে ইনিংসের শুরুতেই চাপে পড়ে যায় খুলনা। ৬.৩ ওভারে ৪৩ রান তুলতেই নেই খুলনার ৩ উইকেট। এরপর বলা যায় লড়াইটা একাই চালিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। আরিফুল হকের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে গড়েন ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪০ রানের জুটি। করেন টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম ফিফটি।

একসময় মনে হচ্ছিল টুর্নামেন্টের সেরা বোলিং সাইডের বিরুদ্ধে ফাইনালে খুলনার স্কোর টেনেটুনে ১৪০-১৪৫ হবে। কিন্তু সৌম্য সরকারের করা ইনিংসের শেষ ওভারে ২ চার ও এক ছক্কায় দলপতি তোলেন গুরুত্বপূর্ণ ১৭ রান। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহর ৪৮ বলে ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংসের ওপর ভর করে খুলনা পায় ১৫৫ রানের লড়াকু পুঁজি। আসরে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতা গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে হারিয়ে জেমকন খুলনা পায় ৫ রানের অবিস্মরণীয় জয়।

টুর্নামেন্টের শুরুতে তার খেলা নিয়েই ছিল সংশয়! দিনশেষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই বনে গেলেন নায়ক। তার হাতেই উঠলো চ্যাম্পিয়ন ট্রফি। পেলেন প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারও।  

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password