জেমিসন হিসাব করতে পারছিলেন না

জেমিসন হিসাব করতে পারছিলেন না

তার ভিত্তিমূল্য ছিল ৭৫ লাখ রুপি। সেটা বাড়লেই বা আর কত হবে? কাইল জেমিসন ভেবেছিলেন, রাতে ঘুমিয়ে সকালে উঠে খবরটা নিয়ে নেবেন। আইপিএলের নিলাম যখন চলছিল, নিউজিল্যান্ডে যে তখন বেশ রাত।

কিন্তু নিলামে নাম উঠবে, দামাদামি চলবে; একটা অস্থিরতা তো মনের মধ্যে চলছিলই। মাঝরাতে বিছানায় উঠে বসলেন, চোখ রাখলেন মোবাইলে। প্রথমবারের মতো আইপিএলে নিজের দাম দেখে তো কিউই পেসারের চোখ ছানাবড়া। নিলামে তাকে ১৫ কোটি রুপিতে কিনে নিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু!

৬ ফুুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার জেমিসন বুঝতে পারছিলেন, পকেটে বেশ ভালো একটা অংকই ঢুকতে যাচ্ছে। কিন্তু ভারতীয় রুপির হিসাবটা মিলাতে পারছিলেন না। ১৫ কোটি রুপিতে নিউজিল্যান্ডের ডলারে কত হয়?

জেমিসন নিজেই জানালেন, তার জন্য অনুভূতিটা ছিল অবিশ্বাস্য। কিউই পেসারের ভাষায়, ‘সত্যি বলতে অবিশ্বাস্য এক অনুভূতি। ভেবেছিলাম রাতে ঘুমিয়ে যাব। কিন্তু মাঝরাতের দিকে উঠে বসি এবং ফোনে চোখ রাখি। জীবনে আর কখনও এরকম হবে কিনা কে জানে! তাই মনে এলো, পরিস্থিতি এড়িয়ে যাওয়ার চেয়ে আলিঙ্গন করি ও উপভোগ করি। ওই ঘণ্টা দেড়েক সময়, নিশ্চিতভাবেই ছিল অদ্ভুত।’

নিলাম চলার সময়ই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বোলিং কোচ শেন বন্ড (যিনি নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি পেসার) নক দিয়েছিলেন জেমিসনকে। জিজ্ঞেস করেছিলেন, কতটা ভালো হয়েছে (দামের) ব্যাপারটা? স্বদেশি ‘বড় ভাই’কে জবাব দেবেন কিভাবে, জেমিসন যে বুঝতেই পারছিলেন না আসলে টাকার অংকটা কত!

কিউই পেসার বলেন, ‘আমার আসলে জানা ছিল না, ১৫ কোটি রুপিতে নিউজিল্যান্ডের কত ডলার হয় (নিউজিল্যান্ড ডলারে প্রায় ২৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা)। ব্যাপারটা নিয়ে শেন বন্ডের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বললাম, তার সঙ্গে অনুভূতিগুলো ভাগাভাগি করলাম। এখনও চেষ্টা করছি ঘটনাটা হজম করার।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password