স্পেনকে বিদায় করে ফাইনালে ইতালি

স্পেনকে বিদায় করে ফাইনালে ইতালি
MostPlay

একই ম্যাচে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ দেখলেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড আলভেরো মরাতা। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সেমিফাইনালে ইতালির বিপক্ষে আলভারো মোরাতাই দলকে বাঁচালেন, আবার ডোবালেন তিনিই। ম্যাচ শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা স্প্যানিশদের রক্ষা করেন জুভেন্টাসের এই ফরোয়ার্ড। ৬০ মিনিটে ফেদেরিকো কিয়েসার গোলে এগিয়ে যায় ইতালি। ২ মিনিট পর মাঠে নামেন আলভারো মোরাতা। ৮০ মিনিটে ওলমোর সঙ্গে ওয়ান টু খেলে গোল তুলে নেন। ফলে অতিরিক্ত সময়ে মাঠে গড়ায় খেলা। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত কেউই নিশানা বেধ করতে পারেনি। টাইব্রেকারে মোরাতার শট ফিরিয়ে দেন প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক। ফলে ৪-২ ব্যবধানে জয় তুলে ফাইনালে পা রাখল ইতালি।

এই জয় যে তাদের ৯ বছর পর আবারও তুলে দিয়েছে ইউরোর ফাইনালে। ইতালি শুরু থেকে যায় আক্রমণে। ৪ মিনিটে এমারসনের থ্রু বল ধরে নিকোলো বারেল্লার শট। তা আঘাত করে গোলপোস্টে। বল জালে জড়ালেও লাভ হতো না, কারণ অফসাইড ছিল। স্পেনের প্রথম সুযোগ আসে ১৩ মিনিটে। পেদ্রির পাস থেকে ওয়ারজাবালের শট ওই যাত্রায় বিপদমুক্ত করেন বোনুচ্চি। দুই মিনিট পর ফেরানের লম্বা শট গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। এরপর নিজের কাছে বল রেখে খেলা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় স্পেন। ই-তৃতীয়াংশ সময় বলে দখল নিজেদের কাছেই রেখেছিল তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা।

গোলের খোঁজে শট নিয়েছিল ৫টি। যদিও সাফল্য মেলেনি। বিরতির পর অনেকটা ধারার বিপরীতে গিয়েই গোল পায় ইতালি, ৬০ মিনিটে ডান পায়ের বাঁকানো শটে গোল পান ফেদেরিকো কিয়েসা। এই গোলের পর যেন স্পেন হয়ে ওঠল আরও বেশি মরিয়া। তাতে আজ্জুরিদের নাভিশ্বাস তুলে ছাড়ল দলটা। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে স্পেন। দুর্দান্ত খেলতে থাকা স্পেন গোল হজম করার পর নতুন উদ্যমে শুরু করে আক্রমণ। তবু সমতাসূচক গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয় আরও ২০ মিনিট।

পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা উপহার দেয়া দানি ওলমোর ডিফেন্সচেরা পাস থেকে ডনারুম্মাকে বোকা বানিয়ে স্পেনকে সমতায় ফেরান মোরাতা। নির্ধারীত সময়ে আর কোন গোল না হলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এদিকে সেই অতিরিক্ত সময়েও গোল করতে না পারায় দ্বারস্থ হতে হয় টাইব্রেকারের। ইতালি ও স্পেন প্রথম শটে গোল করতে ব্যর্থ হয়। লোকাতেল্লি ও ওলমো জাল খুঁজে পাননি। পরের দুটি শট থেকে দুই দল গোল করে। বেলোত্তি ও বোনুচ্চি ইতালির পক্ষে আর মোরেনো ও থিয়াগো আলকান্তারা স্পেনের হয়ে জাল কাঁপান।

ছন্দপতন হয় চতুর্থ শটে। বের্নার্দেশচি ইতালির স্কোর ৪-২ করেন, কিন্তু মোরাতার দুর্বল শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ফেরান দোনারুমা। পঞ্চম শটে জর্জিনহো লক্ষ্যভেদ করে ইতালিকে ফাইনালের তোলেন। টানা ৩৩ ম্যাচ অজেয় থেকে আগামী ১১ জুলাই এই মাঠেই ফাইনাল খেলবে ইতালি। ১৯৬৮ সালে প্রথম ইউরো জেতার পর ২০০০ ও ২০১২ সালে ফাইনালে উঠেও স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের। এবার ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় শিরোপার জেতার অপেক্ষায় ইতালি। ফাইনালে তাদের বিপক্ষে লড়বে ইংল্যান্ড ও দেনমার্কের মধ্যে জয়ী দল।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password