কুড়কুড়ের পরে গ্লাসভর্তি ইনো খেয়ে মৃত্যু ছাত্রের

কুড়কুড়ের পরে গ্লাসভর্তি ইনো খেয়ে মৃত্যু ছাত্রের

কুরকুরে খাওয়ার পরে শরীরে অস্বস্তি হচ্ছে বলেছিল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র শিরিষ স্যাভিও। চেন্নাই-এর সেন্ট মাইকেল অ্যাকাডেমির ছাত্র শিরিষ সমানে ঘামছিল। ছেলের কষ্ট দেখে দিশেহারা হয়ে যান বাবা-মা। অম্বল হয়ে গিয়েছে ভেবে শিরিষকে এক গ্লাস জলে ইনো খেতে দেন তাঁরা।বাবা মা-র দাবি, ইনো খাওয়ার পর শিরিষ আরও বেশ করে অস্থির হয়ে পড়ে। সমানে বমি করতে শুরু করে। শরীরে প্রচণ্ড অসুবিধা হচ্ছে বলেও নাকি বাবা-মা-কে জানায়। এরপরই ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটেছিলেন বাবা-মা।
কিন্তু, হাসপাতালে পৌঁছতেই চিকিৎসকরা জানান, রাস্তাতেই শিরিষের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবারের এই ঘটনা পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন শিরিষের বন্ধুর বাবা এবং দক্ষিণ ভারতীয় সঙ্গীতের অন্যতম তারকা জেমস বসন্তন।এই পোস্টের ভিত্তিতে খবরও করে চেন্নাইন অনলাইন বলে একটি সংস্থা। সোশ্যাল মিডিয়ায় শিরিষের এমন মর্মান্তিক পরিণতির খবর ভাইরাল হয়ে ওঠে। কুরকুরে খাওয়ার পর ইনো খেয়ে কারোর মৃত্যু হতে পারে কি না, তাই নিয়ে শুরু হয়ে যায় তরজা।একটি অনলাইন সংস্থা এই নিয়ে পেপসিকো-র ভারতীয় পরিচালন বর্গের সঙ্গে কথাও বলে। ভারতে পেপসিকো-র মুখপাত্র এই নিয়ে একটি বিবৃতিও জারি করেন এবং শিরিষের মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করেন।

শিরিষের পরিবারকে সমবেদনাও জানান বিবৃতিতে। তবে, কুরকুরে খেয়ে এই মৃত্যুর ঘটনার খবরকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি। কুরকুরে সম্পূর্ণভাবেই নিরাপদ বলে দাবি করেন তিনি।এদিকে, পরে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট থেকেও তাঁর পোস্ট প্রত্যাহার করেন জেমস বসন্তন। তিনি জানান, শিরিষের পরিবারের প্রাইভেসিকে মর্যাদা দিতেই তিনি ওই পোস্ট প্রত্যাহার করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনা নিয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না।

তবে, সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ভাইরাল হওয়ায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শিরিষের মৃত্যুর খবর পাওয়ায় শোক জানাতে ছুটি ঘোষণা করে দেয় তাঁর স্কুল। সোশ্যাল মিডিয়াতেই শিরিষের জন্য শোক জ্ঞাপন করে তার সহপাঠীরা এবং তাদের অভিভাবকরা। যদিও, কী কারণে শিরিষের মৃত্যু হয়েছে তা জানাতে পারেননি চিকিৎসকরাও।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password