ক্রিকেট খেলাকে সব দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেশে বড় বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায় আইসিসি। এ জন্য সবকটি পূর্ণাঙ্গ ও সহযোগী সদস্য দেশের কাছে টুর্নামেন্ট আয়োজনের আবেদন আহ্বান করেছে ক্রিকেটের বৈশ্বিক সংস্থা। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড চায় ওয়ানডে, টি২০ বিশ্বকাপসহ আইসিসির বড় টুর্নামেন্টগুলো যেন ‘বড় দেশ’গুলোতেই হয়। এটা স্পষ্ট যে, বাংলাদেশসহ ছোট দেশকে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে দিবেনা ভারত।
অর্থাৎ, ২০১৫ থেকে ২০২২ মেয়াদের মতো পরবর্তী আট বছরের সব বৈশ্বিক আসরও কেবল ভারত, ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়া- এই তিন দেশ আয়োজন করবে। বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুযোগ দিতে চায় না বিসিসিআই।
২০১১ সালে ওয়ানডে ইন্টারন্যাশনাল ও ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ। এরপর সাত বছরে কেটে গেলেও বিশ্বকাপ কবে আয়োজন করবে বাংলাদেশ সেটা এখনও কেউই জানে না। তবে আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী দ্রুতই বিশ্বকাপ আয়োজন করার কথা ছিলো বাংলাদেশের। কিন্তু এখন ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া আইসিসির আইন মানতে নারাজ।
আইসিসির আগামী চক্রের বিডিং প্রক্রিয়া নিয়ে ভারতের এমন অবস্থান অবশ্য নতুন নয়। গত ফেব্রুয়ারিতেই নিজেদের অসন্তোষের কথা জানিয়েছিল তারা। সর্বশেষ বুধবার অনুষ্ঠিত আইসিসি সদস্যদের মিটিংয়ে যার পুনরাবৃত্তি করেছেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী।
২০২৩-৩১ চক্রের জন্য আইসিসির পরিকল্পনা অনুসারে প্রতিবছরই একটি করে বড় টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। আট বছরের মধ্যে মধ্যে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ, ২০ ওভারের বিশ্বকাপ, আইসিসি সুপার লিগ, ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, পুরুষ ও নারী ক্রিকেট মিলিয়ে মোট ২০ টুর্নামেন্ট থাকছে।
কিন্তু এতগুলো আইসিসির ইভেন্ট থাকলেও দ্বিপক্ষীয় লাভজনক সিরিজের (ভারত-অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া, ভারত-ইংল্যান্ড) সময় বের করা যাবে না বলে টুর্নামেন্ট কমাতে চায় ‘বিগ থ্রি’ নামে পরিচিত ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।
একইভাবে বিডিং প্রক্রিয়া বাদ দিলে নিজেরাই বড় আসরগুলো আয়োজন করতে চায় তারা। বিসিসিআই অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে সহ-আয়োজক রেখে আফ্রিকা মহাদেশে একটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে একটি টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজন পর্যন্ত ছাড় দিতে রাজি আছে। মার্চে আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে এ নিয়ে আরও আলোচনা হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন