টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্বামীকে হত্যার পর মরদেহ সেফটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বাঁশি এলাকায় নিজ বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত চান মিয়া বাঁশি এলাকার মনতা মিয়ার ছেলে। এর আগে শনিবার থেকে চান মিয়া নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনায় নিহত চান মিয়ার স্ত্রী রেজিয়া ও তার পরকীয়া প্রেমিক হালিম মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হালিম একই এলাকার সবেদ আলী মন্ডলের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, চান মিয়ার স্ত্রী রেজিয়া বেগমের সঙ্গে একই এলাকার রডমিস্ত্রি রিপনের পরকীয়া প্রেম ছিল। শনিবার থেকে চান মিয়া নিখোঁজ ছিল।
স্থানীয় কাউন্সিলর মুক্তার আলী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ সময় চান মিয়ার স্ত্রী রেজিয়াকে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসা করলে সে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
তিনি জানায়, তার স্বামীকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার জন্য আরো তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির সেফটিক ট্যাংকে মরদেহ ফেলে রাখে। পরে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, রক্তমাখা বালিশ ও লেপ তাদের ঘরের সিলিং থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
কালিহাতী থানার ওসি (তদন্ত) রাহেদুল ইসলাম বলেন, স্ত্রী ও তার প্রেমিকসহ কয়েকজন মিলে চান মিয়াকে হত্যার পর লাশ গুমের জন্য বাড়ির সেফটিক ট্যাংকের ভিতর ফেলে রাখে। পরে স্ত্রীর দেয়া তথ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত জিনিসগুলো আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন