চলমান ই-কমার্স নৈরাজ্যের দায়ভার ই-ক্যাব নেতারা এড়াতে পারবেনা

চলমান ই-কমার্স নৈরাজ্যের দায়ভার ই-ক্যাব নেতারা এড়াতে পারবেনা

চলমান পরিস্থিতিতে গত দুই বছর ধরে ই-কমার্স খাতে যত নৈরাজ্য বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন সংস্থা। সংগঠনটি বলেন, সম্প্রতিক সময়ে ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, আলেশা মার্টসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করার সকল সংবাদ গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। বলা হয় গ্রাহকরা এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রাজপথে পর্যন্ত নেমে এসেছে। ইনফ্লুয়েন্সার মাশরাফি বিন মর্তুজার বাড়িতেও গ্রাহকরা এসে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন।

ইতোমধ্যে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিগাসা বাদ করছে। আজ মঙ্গলবার ২৪ আগস্ট ২০২১ সংবাদ মাধ্যমে মুঠোফোন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদের পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে। এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে ই-কমার্স খাতে বাৎসরিক যত লেনদেন হচ্ছে প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন ডলার। এই এফ-কমার্সে ২০২০ সালে লেনদেন হয়েছে প্রায় ৩২০ কোটি মার্কিন ডলার । এবং বাংলাদেশে বিপুল সম্ভাবনাময় এ খাতে নেতৃত্বে যারা রয়েছেন, তারা শুধু মন্ত্রণালয়ে তদবিরে ব্যস্ত থাকেন কাজের কাজ করছে না। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে সরকারের কাছ থেকে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার বেশি সহায়তা নিয়েছে।

এছাড়া এ সংগঠনের সদস্যদের থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ চাঁদা দিতে হচ্ছে। তাছাড়া নিবন্ধনকৃত সকল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম দেখেই তারা সদস্য মনোনীত করে থাকে। কিন্তু এই এমএলএম কোম্পানিগুলোকে কীভাবে তারা সদস্য হিসেবে নিচ্ছে এবং তাদের পক্ষে সকল ধরনের দেনদরবার ও তদবির বাজিতে ব্যস্ত থাকছে। অনৈতিক সকল লেনদেনকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম বন্ধ এবং তার কর্তা ব্যক্তিদেরকে গ্রেফতারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে ও গ্রাহকদের প্রাপ্য ন্যায্য দাবি পরিশোধের যাবতিয় ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত সুরাহা না করতে পারায় সকল নেতৃত্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিরা কোনোভাবেই এসকল দায়মুক্তি পেতে পারবে না বলে আমরা মনে করছি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আমরা দেশের সরকারের এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জোরালো দাবি জানাচ্ছি ই-কমার্সের নেতৃত্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ড এবং দায়দায়িত্ব কতটুকু ছিল তা জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে এবং তাদের জবাব দিহি করতে হবে।

ও গ্রাহকদের প্রাপ্য সকল দাবিগুলো প্রয়োজনে নেতৃত্ব প্রদানকারী সকল প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে পরিশোধ করার জোর দাবিও জানাচ্ছি বলে জানান তিনি। এবং এই রাজপথে ই-কমার্স খাতের ভুক্তভোগীরা আন্দোলন করছে, যেনো তাদের সঙ্গে আমরা সংহতি প্রকাশ করতে পারি। যখন অনেক বড় বড় বিনিয়োগকারী এ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী হবে, সে সময় এ ধরনের নৈরাজ্য কোনোভাবেই কাম্য নয় এদেশে। এসকল ব্যাপারে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি বলে জানানো হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password