মনতলা এলাকায় ব্রিজের নিচে লাগেজ থেকে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। মাথা পড়ে ছিলো বাইরে। ময়মনসিংহের সুতিয়া নদী থেকে এক যুবকের চার খণ্ড মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নির্মম এই হত্যাকাণ্ডে আতংকিত এলাকাবাসী। পুলিশ বলছেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, নিহতের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছেন তারা।
সদর উপজেলার ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মনতলা ব্রিজের নিচ থেকে আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার (২ জুন) সকালে স্থানীয়রা ব্রিজের নিচে লাশ পরে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ খাদে লাগেজ থেকে মাথা ছাড়া মরদেহ এবং খানিকটা দূরে পলিথিনে মোড়ানো মাথা উদ্ধার করে। লাশের পাশে খাতা, বালিশও ছিল।
এ ঘটনায় আতংকিত এলাকাবাসী লাশের পরিচয় শনাক্তের পাশাপাশি ঘাতকদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। স্থানীয় ইউপি সদস্য ফয়জুর রহমান তুহিন বলেন, মানুষের একটি মাথা পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা আমাকে খবর দিলে আমি সাথে সাথে পুলিশকে অবহিত করি। লোকটিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে মরদেহের মুখমণ্ডল দেখে বুঝা গেছে তিনি এই এলাকার না। দূরে কোথাও থেকে হত্যা করে এখানে লাশ ফেলে গেছে হত্যাকারীরা।
সাদিকুল ইসলাম নামে স্থানীয় আরেকজন বলেন, লোকটিকে দেখতে শিক্ষিত ভদ্র মনে হচ্ছে। তবে যারা তাকে নির্মমভাবে মেরেছে কাজটি ঠিক হয়নি। শরীর থেকে গলা পর্যন্ত মাথা, উরু থেকে দুই পা আলাদা করা হয়েছে।
এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড জানিয়ে ময়মনসিংহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুল ইসলাম ফকির বলেন, যুবকটিকে হত্যার পর লাগেজে ভরে মাথা ছাড়া মরদেহ ব্রিজের ওপর থেকে পানিতে এবং পলিথিনে মোড়ানো মাথা পাট খেতের কাছে ফেলে যায় ঘাতকরা। লাশের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে মেশিন দিয়ে গলা, পা কাটা হয়েছে। পরিচয় যাতে শনাক্ত করতে না পারি হত্যাকারীরা আলামত নষ্ট করেছে। তিনি আরো বলেন, দুপুরে মরদেহ উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন