চিনের গবেষণাগারেই কি তৈরি হয়েছিল করোনা ভাইরাস! এত দিনে জানা গেল

চিনের গবেষণাগারেই কি তৈরি হয়েছিল করোনা ভাইরাস! এত দিনে জানা গেল

সত্যিই কি চিনের কোনও গবেষণাগারেই এই মারণ ভাইরাস বা জৈব অস্ত্র? সম্প্রতি এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল গবেষণায়।

সারা বিশ্ব করোনা ভাইরাসের ভয়ে থরথর করে কাঁপছে। চিন থেকে শুরু হওয়া মারণ সংক্রমণ একের পর এক গণ্ডি ভেঙে ছড়িয়ে পড়েছে ভারত, স্পেন, ইতালি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। একদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল, অন্য দিকে বাড়ছে দোষারোপ। অনেকেই বলছেন, করোনা কোনও প্রাকৃতিক ভাইরাস নয়, এর আবিষ্কার কোনও গবেষণাগারে। কেউ কেউ সরাসরি চিনকেই দাগিয়ে ফেলছেন অপরাধী হিসেবে। সত্যিই কি চিনের কোনও গবেষণাগারেই এই মারণ ভাইরাস বা জৈব অস্ত্র? সম্প্রতি এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল গবেষণায়।

ক্রিস্টিয়ান অ্যান্ডারসন নামক এক গবেষক বিজ্ঞান জার্নাল নেচার ম্যাগাজিনে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করেছেন। তিনি সাফ জানাচ্ছেন কোভিড-১৯ একটি প্রাকৃতিক ভাইরাস। কোনও রসায়নাগারে একে তৈরি করা হয়নি।

নিউ অরল্যন্সের তুলান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট রবার্ট গ্যারিও সমানতালে গবেষণা করে যাচ্ছেন করোনার চরিত্র নিয়ে। তাঁর বক্তব্য উহানের ভাইরাস গবেষণাগারের লাগোয়াই মাছবাজার। তাই এই তত্ত্ব খুব সহজে ছড়ায় যে চিন এই ভাইরাসকে তৈরি করেছে। সরাসরি এই তত্ত্বকে খারিজ করছেন গ্যারিও ক্রিস্টিয়ান অ্যান্ডারসন।

 

 

 

বিজ্ঞানীদ্বয় বলছেন, একটি ভাইরাসকে কৃত্তিমভাবে প্রস্তুত করলে তা পূর্ববর্তী কোনও ভাইরাসের চরিত্র লক্ষণ অনুযায়ীই তৈরি করতে হয়। এমনও হতে পারে একাধিক ভাইরাসের গুণাগুণ মিশিয়ে একটি ভাইরাস তৈরি করেন। ,সেক্ষেত্রে নতুন ভাইরাসটির মৌলিক কোনও চরিত্র থাকে্ না। কিন্তু করোনার ক্ষেত্রে হয়েছএ উল্টো। তার নিজস্বতা রয়েছে। এই নিজস্বতা সে অর্জন করেছে প্রকৃতি থেকেই। এই ভাইরাসের জিনের গঠন দেখেও বোঝা যায় অন্য কোনও ভাইরাসকে ভিত্তি করে তাকে তৈরি করা হয়নি।

এখানেই থেমে যাননি বিজ্ঞানীরা। তাঁরা দেখাচ্ছেন প্যাঙ্গোলিন ভাইরাস বা ব্যাট ভাইরাসের সঙ্গে মিলও রয়েছে এই করোনা ভাইরাসের। এই ভাইরাসগুলির গঠন সম্পর্কেও জানা গিয়েছে সম্প্রতি। কাজেই রাতারাতি কৃত্তিম ভাইরাস তৈরি করাও সম্ভব নয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password