করোনার চিকিৎসায় যে ওষুধে ব্যাপক সাফল্য পাচ্ছে চীন

করোনার চিকিৎসায় যে ওষুধে ব্যাপক সাফল্য পাচ্ছে চীন

করোনার চিকিৎসায় যে ওষুধে ব্যাপক সাফল্য পাচ্ছে চীন
অনলাইন ডেস্ক
চীন মানেই নতুন কিছু। প্রযুক্তির যুগে বিভিন্ন পণ্যের বিকল্প ও সহজ ভার্সন বের করে প্রতিনিয়ত বিশ্বকে চমকে দিতে জুড়ি নেই দেশটির।
এবার আরও একটি চমক দেখাল চীন। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস যখন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, তখন এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ট্রেডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন (টিসিএম) ব্যবহার করে সফলতা পেতে শুরু করেছে দেশটি। আর এটিকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ‘চাইনিজ ওষুধ’নামে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিরসবুজ এফিড্রা, দারুচিনি এবং যষ্টিমধুসহ ২০ প্রকার ঔষধি গাছ দিয়ে বিশেষ বাদামি স্যুপ তৈরি করে সকাল-সন্ধ্যা রোগীদের খাওয়ানো হচ্ছে।
চীনা সরকার এই টিসিএম জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করতে উৎসাহ দিচ্ছে। মধ্য উহানের একটি অস্থায়ী হাসপাতালে দুই মাস ধরে এভাবে রোগীদের চিকিৎসা চলছে।
চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগের পাশাপাশি প্রায় ৬০ হাজার মানুষকে এভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
চীনের ঐতিহ্যবাহী এই ওষুধ নিয়ে পশ্চিমা চিকিৎসকদের অবশ্য অনেক আগে থেকেই প্রশ্ন আছে। কিন্তু সেটি চীনা প্রশাসন পাত্তা দিতে নারাজ।
চীনের জাতীয় ট্রেডিশনাল চাইনিজ মেডিসিনের উপ-প্রধান ইউ ইয়ানহং গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেন, ‘চাইনিজ অভিজ্ঞতা আমরা সবার সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে আমাদের এই ওষুধ ভালো কাজ করছে।’
উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটিতে ৪ হাজারের মতো মানুষ প্রাণ হারালেও পরীক্ষিত কোনও ওষুধ এখনও তৈরি করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। প্রথাগত অ্যান্টিভাইরাল ট্রিটমেন্ট দিয়েই চলছে লড়াই। চীন সরকারের বিশ্বাস, ভ্যাকসিন আসার আগ পর্যন্ত তাদের হাতে তৈরি ওষুধই মুক্তির পথ।
ইউ ইয়ানহংর দাবি, যে ৫০ হাজার মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশ ঘরোয়া ওষুধেই।
একটি পরীক্ষার কথা উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, ১০২ জন রোগীকে দুই গ্রুপে ভাগ করে পরীক্ষামূলক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। একদল গ্রহণ করেছেন পাশ্চাত্য ওষুধ, আরেক দল চীনের টিসিএম। যারা টিসিএম নিয়েছেন তাদের সুস্থতার হার ৩৩ শতাংশের বেশি।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব চেচিয়াং প্রদেশের ৯৫ শতাংশ করোনা রোগীকে চাইনিজ ওষুধ দিয়ে সুস্থ করা হয়েছে।
সব রোগী অবশ্য এই ওষুধে ভরসা রাখছেন না। সিএনএনের প্রতিবেদনে, জিয়াং কিংজেন নামের এক ড্রোন ইঞ্জিনিয়ারের কথা বলা হয়েছে, যিনি টিসিএম ‘বিশ্বাস না করে’ প্রচলিত ওষুধে সুস্থ হয়েছেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password