চীনের বেইজিং প্রবল ধূলিঝড়ের কবলে

চীনের বেইজিং প্রবল ধূলিঝড়ের কবলে

ভারী বাদামী ধূলোয় ঢেকে গেছে চীনের বেইজিং শহর। সোমবার সকালে অন্তর্দেশীয় মঙ্গোলিয়া ও চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মরু এলাকা থেকে বাতাসে ভেসে আসা ধূলোর কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর ফলে বেইজিংয়ে বায়ূ দূষণের মাত্রা বেড়ে গেছে অনেকখানি।

সোমবার সকালে এমন দূষণের পর চীনের আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ বেইজিংয়ে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। তারা জানিয়েছে, অন্তর্দেশীয় মঙ্গোলিয়া থেকে আসা ধূলিঝড়টি মঙ্গোলিয়া থেকে বেইজিংকে ঘিরে গ্যানসু, শানসি এবং হুবেই প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে শহরের সকল অধিবাসীদের বাইরে কাজ পরিহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

সোমবার বেইজিংয়ের বায়ুর মানের সূচক সর্বোচ্চ ৫০০ তে গিয়ে পৌঁছেছে। শহরের ছয়টি স্থানে পিএম১০ নামে পরিচিত উড়ন্ত কণার মাত্রা দাঁড়িয়েছে প্রতি কিউবিক মিটারে ৮ হাজার ১শ মাইক্রোগামে। এর ফলে দৃষ্টিসীমা দাঁড়িয়েছে ৩শ থেকে ৮শ মিটারের মধ্যে। ফুসফুসে প্রবেশে সক্ষম আরো ছোট কণা পিএম২.৫ এর মাত্রাও অনেক বেড়ে গিয়েছে। সোমবার এর মাত্রা পৌঁছেছে প্রতি কিউবিক মিটারে ৩শ মাইক্রোগ্রামে। যা চীনের সাধারণ মাত্রা ৩৫ মাইক্রোমের চেয়ে অনেক বেশি।

গোবি মরুভূমির কাছাকাছি অবস্থানের কারণের বেইজিং মার্চ ও এপ্রিলে নিয়মিতভাবেই ধূলিঝড়ের কবলে পড়ে। এছাড়া উত্তর চীনে বনভূমি উজাড় হয়ে যাওয়াও এর অন্যতম কারণ।

জানা গেছে, সেখানকার বাতাস এতটাই ভারী আর দূষিত হয়ে গেছে যে নগরবাসীকে দমবন্ধ হয়ে যাওয়া সেই বাতাস থেকে নিজেদের রক্ষার জন্য মাস্ক, গগলস এবং মাথায় চুলের টুপি ব্যবহার করতে হচ্ছে। বাতাস এতটাই ঘোলাটে হয়ে গেছে যে ফরবিডেন সিটির ল্যান্ডমার্ক এবং রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার প্রধান কার্যালয়টিও ঠিকমতো দেখা যাচ্ছে না। এ কারণে নগর সরকার সমস্ত স্কুলকে বাইরের খেলাধুলা এবং ইভেন্টগুলো বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। শ্বাসকষ্ট আছে এমন রোগীদের ঘরে থাকার পরামর্শও দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বেইজিংয়ের চারপাশে থাকা অঞ্চলগুলো তুলনামূলকভাবে আরও বেশি দূষণের শিকার হয়েছে। ৫ মার্চ পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরুর সময়ও বেইজিং ধূলোর কুয়াশায় ঢেকে গিয়েছিল।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password