বুড়ো হাঁড়ের ভেলকি দেখালেন সুরেশ রায়না। জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন গতবছর মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গেই। গত আইপিএল খেলতে না পারলেও এবার ঠিকই তিনি ফিরে এসেছেন স্বরূপে। এসেই খেললেন দুর্দান্ত এক ইনিংস।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রায়নার ব্যাটে ভর করে রিশাভ পান্তের দল দিল্লি ক্যাপিটালসের সামনে ১৮৯ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল চেন্নাই।
টস জিতে চেন্নাইকেই ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান দিল্লি অধিনায়ক পান্ত। এই ম্যাচেই অধিনায়ক পান্তের অভিষেক ঘটলো। টস জিতে তার ফিল্ডিং নেয়ার সিদ্ধান্তকে যথার্ত প্রমাণ করেন ক্রিস ওকস এবং আভেশ খান। কারণ ৭ রানের মাথায় চেন্নাইর দুই ওপেনারকে তুলে নেন তারা দু’জন।
এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় চেন্নাই। মঈন আলি এবং সুরেশ রায়নার ৫৩ রানের জুটি চেন্নাইকে বিপর্যয় কাটিয়ে তোলে। ২৪ বলে এ সময় ৩৬ রান করে আউট হন মঈন আলি।
এরপর আম্বাতি রাইডুকে সঙ্গে নিয়ে ৬৩ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন রায়না। দলীয় ১২৩ রানের মাথায় আউট হন রাইডু। ১৬ বলে তিনি খেলেন ২৩ রানের ইনিংস। দলীয় ১৩৭ রানের মাথায় আউট হন রায়না। ৩৬ বলে তিনি করেন ৫৪ রান। ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৩ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায়।
রবিন্দ্র জাদেজা অপরাজিত ছিলেন ১৭ বলে ২৬ রান করে। তবে ব্যর্থ ছিলেন অধিনায়ক ধোনি। ব্যাট করতে নেমে খেলেছেন মাত্র ২ বল। নামের পাশে কোনো রান লেখা নেই, শূন্য। শেষ মুহূর্তে স্যাম কুরান ঝড় তোলেন। ১৫ বলে ৩৪ রান করে আউট হন একেবারে ইনিংসের শেষ বলে।
শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান সংগ্রহ করে চেন্নাই সুপার কিংস। দিল্লির বোলারদের মধ্যে ক্রিস ওকস এবং আভেশ খান নেন ২টি করে উইকেট। ১টি বরে উইকেট নেন অশ্বিন এবং টম কুরান।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন