চাঁদপুরে রাতের আধারে রাস্তা বানালো জিন-পরী

চাঁদপুরে রাতের আধারে রাস্তা বানালো জিন-পরী

রাতারাতি ফসলি জমির ওপর তৈরি করা হয়েছে কাঁচা রাস্তা। যা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চলছে নানা গুঞ্জণ। ডালপালা মেলছে গুজবের। কেউ বলছে জিন-পরীর কাজ, আবার কেউ বলছে এটি গায়েবি কাণ্ড। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বাড়িতে যাতায়াতের সুবিধার জন্যই জমির ওপর দিয়ে রাস্তাটি বানানো হয়েছে। ভূমি মালিকের দাবি রাস্তা অপসারণ করে ফসলি জমি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়ার।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে জমির মালিকের অনুমতি ছাড়াই রাতের আঁধারে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে জাকির হোসেন নামে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। রোববার (১ এপ্রিল) দিনগত রাতে হাজীগঞ্জ উপজেলার হাঁটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের ধড্ডা মজুমদার বাড়ি সংলগ্ন মাঠের মাঝখানে এ রাস্তা নির্মাণ করা হয়। পরদিন সকাল থেকে এলাকায় জিনে রাস্তাটি নির্মাণ করেছে বলে একটি গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এ রাস্তাটির নাম দেওয়া হয় ‘গায়েবি রাস্তা’।

জমির মালিক মনির হোসেন মজুমদার, আবুল হাসানাত ও শাখাওয়াত হোসেন জিয়ার মা নুরুন নাহার জানান, গভীর রাতে এ রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে এমন একটি রাস্তা নির্মাণ হয়েছে শুনে এসে দেখেন নিজের সম্পত্তির ওপর দিয়ে এ রাস্তা করা হয়েছে। যদিও এ রাস্তাটি নির্মাণ করতে জমির মালিকদের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে জানান তারা। রাস্তাটি শুধুমাত্র জমির পিছনে থাকা শেখ বাড়ি ও ছৈয়াল বাড়ির জন্য গোপনে রাস্তাটি করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, টাকার বিনিময়ে রাতের আঁধারে এ রাস্তা নির্মাণ করেন ইউপি সদস্য জাকির হোসেন। এদিকে রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি জানতে চাইলে দায়ী ইউপি সদস্য জাকির হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘আপনার যা ইচ্ছে তাই করুন। রাস্তা করেছি। তাতে আপনার কী?

পরের জমিতে রাতের আঁধারে রাস্তা তৈরির বিষয় জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান একেএম মজিবুর রহমান বিরক্তিকর প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার সময় নেই। তাই রাস্তার বিষয়টি সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’ হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জাকির হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তাটি নির্মাণে স্থানীয়দের কোনো আপত্তি নেই মর্মে গণহারে ২৫-২৬ জনের লিখিত এবং স্মারক নিয়েছি। তবে সরকারি কোনো বরাদ্দ ছাড়াই মেম্বার এ রাস্তাটি নির্মাণ করেছেন। জমির মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন কিনা জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা জানান, আব্দুস ছাত্তার নামে একজনের কথা হয়েছে। বাকি তিনজনের সঙ্গে তিনি কথা বলেননি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password