বিজেপি বিষধর সাপ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বিজেপি বিষধর সাপ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

হুইলচেয়ারে বসেই একের পর এক নির্বাচনী প্রচার সভায় যোগ দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোষণা দিচ্ছেন, এবার এই বাংলা থেকে বহিরাগতদের তাড়াতে হবে।

আজ সোমবার মমতা হুইলচেয়ারে বসে হাতে মাইক নিয়ে বাঁকুড়ার কোতলপুর ও ইন্দাস এবং পুরুলিয়ার বড়জোড়ায় তিনটি জনসভা করেছেন। সেসব জনসভার বক্তৃতায় মমতা বলেছেন, বিজেপি একটি বিষধর সাপ। যেখানে যাবে সেখানে ছোবল মারবে, সাবধান। তাদের এই বাংলায় আশ্রয় দেবেন না। তাড়িয়ে দিন। এই বাংলা চায় এই বাংলার মেয়েকে, কোনো বহিরাগতকে নয়।

বিজেপি এবার বাইরে থেকে ভাড়া করে গুন্ডা এনেছে বলে মন্তব্য করেন মমতা। তিনি বলেন, ওরা নির্বাচনে পরাজিত হবে জেনে নির্বাচনে হাঙ্গামা বাধিয়ে ভোট লুট করবে। ওদের এই বাংলায় আশ্রয়–প্রশ্রয় দেবেন না। ওরা বহিরাগত। ওরা এই বাংলায় এসে বাংলার মানুষের জমিজমা, ঘরবাড়ি দখল করবে। ওরা ভাড়াটে দিয়ে বাংলা শিখে এখন ছোবল মারার জন্য ব্রতী হয়েছে।

জনসভায় মমতা আরও বলেন, ‘ওরা ভেবেছিল, আঘাত করে আমাকে প্রচারকাজ থেকে দূরে রাখবে। কিন্তু বাংলার মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে ওদের পরাস্ত করতে আমি ভাঙা পা নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছি। এক পা দিয়ে ওদের পরাস্ত করে ওদের আমি বাংলার বাইরে পাঠিয়ে দেব। ওরা জানে না আমি ভাঙলেও মচকাই না। তাই এবার ওদের বিরুদ্ধে এমন খেলা খেলুন, যাতে বিজেপি হেরে বাইরে চলে যায়। ওরা ভোটের আগে বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেয়। ভোট ফুরোলে পালিয়ে যায়। তাই বলছি, ওরা দস্যু রাবণদের দল। ওদের এবার হঠাতে হবে। ওদের বিরুদ্ধে জোট বাঁধুন। লড়াই করুন। পরাস্ত করুন এই বহিরাগতদের। দস্যু রাবণদের।’

আগামী ২৭ মার্চ পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার নির্বাচন। নির্বাচন হবে রাজ্যের ৫টি জেলার ৩০টি আসনে। আর ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হবে রাজ্যের ৪টি জেলার ৩০টি আসনে।

রাজ্যজুড়ে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে নির্বাচনী লড়াই এখন তুঙ্গে। আর এই লড়াইকে জোরদার করতে বিজেপি একের পর এক কেন্দ্রীয় নেতাদের রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারে এনে চমক দিচ্ছে। চমক দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী মোদি আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে এই রাজ্যে বারবার এনে। গত শনি ও রোববার পরপর দুই দিন পশ্চিমবঙ্গের খড়গপুর আর বাঁকুড়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দুটি পৃথক জনসভায় এনেছে বিজেপি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password