টাইগার কোচিং স্টাফদের মেয়াদ বাড়ানোর চিন্তা করছে বিসিবি

টাইগার কোচিং স্টাফদের মেয়াদ বাড়ানোর চিন্তা করছে বিসিবি
MostPlay

ক্রিকেট পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়াকে ঘরের মাটিতে উড়িয়ে দিয়ে রীতিমতো উড়ছে বাংলাদেশ। গত তিনটি ছাড়া বর্তমান কোচিং স্টাফদের তত্বাবধানে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পারফর্মেন্স খুব বেশি একটা ভাল নয়। কোচিং স্টাফদের সবাই উচ্চ বেতনে কাজ করে থাকেন।বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বিদেশি কোচদের পারফরম্যানস নিয়ে কম বেশি সবার মনেই একটা অসন্তুষ্টি আছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাদের নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন যাদের পেছনে কোটি কোটি টাকা খরচ। কিন্তু তাদের কার্যকরিতা কী? তারা কী শেখাচ্ছেন? তাদের প্রশিক্ষণে আসলে টাইগারদের কতটা উন্নতি হয়েছে বা হচ্ছে! তাই ক্রিকেট অনুরাগিদের মনে কৌতূহলি প্রশ্ন, ডোমিঙ্গো ও বাকি কোচিং স্টাফরা কি নিজের পদে বহাল থাকবেন? সেই বিষয়ে আজ রবিবার কিছুটা ধারণা দিলেন বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন।

চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত কোচিং স্টাফদের নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) । বিশ্বকাপের পর তাদের নিয়োগ আরো এক বছর বাড়ানোর পরিকল্পনা বিসিবির। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন রোববার মিরপুরে নিজেদের পরিকল্পনা গণমাধ্যমে জানান। বোর্ড প্রধান বলেন, ‘কোচদের মেয়াদ নিয়ে আসলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। উনাদের মেয়াদ এই বিশ্বকাপ পর্যন্ত আছে। আমরা এখন এক বছর বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা করছি। সামনে দুটো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে, আপাতত এই দুটো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই আমাদের মাথায় আছে। তারপর সবার সাথে কথা বললে আরও বুঝতে পারব।’

২০১৯ সালের ৭ আগস্ট বিসিবিতে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ডমিঙ্গো। বিসিবির হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের (এইচপি) কোচ হিসেবে সাক্ষাৎকার দিতে বাংলাদেশে এসেছিলেন এ দক্ষিণ আফ্রিকান। তার প্রোফাইলে উচ্ছ্বসিত হয়ে বিসিবি থেকে দেওয়া হয় জাতীয় দলের কোচ হওয়ার প্রস্তাব। বেতন ধরা হয় মাসিক ১৫ হাজার ডলারের মতো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। রাসেল ডোমিঙ্গোর অধীনে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবারের মতো সিরিজ হারালেও তার অধীনেই বাংলাদেশ ক্রিকেট হজম করে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ধাক্কা। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে হার। এরপর ভারত ও পাকিস্তান সফরে টেস্ট সিরিজে একেবারেই বাজে পারফরম্যান্স বাংলাদেশের। তিনটি টেস্টই হেরেছে বাজেভাবে।

ডোমিঙ্গোর অধীনে এখন পর্যন্ত অধীনে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৪৭ ম্যাচ খেলে ২১টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ দল। জয় ২৫টিতে। টেস্টে ১০ ম্যাচ খেলে দুইটিতে জয়, ১৫ ওয়ানডেতে ১১টিতে এবং ২২ টি-টোয়েন্টিতে ১২টি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password