কান চলচ্চিত্র উৎসবে বুধবার (৭ জুলাই) বেলা সোয়া ৩টায় প্রদর্শিত হয়েছে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ পরিচালিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ চলচ্চিত্রটি। ছবি শেষ হওয়ার সঙ্গে বাতি জ্বলে উঠলো সাল দুবুসি অডিটোরিয়ামের। তার আগেই শুরু হলো মুহুর্মুহু করতালি। আসন ছেড়ে দাঁড়িয়ে গেলো হলের প্রতিটি মানুষ। সামনের সারিতে বসে থাকা ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ নির্মাতা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ ভাসলেন করতালির ঢেউয়ে আর পাশে দাঁড়িয়ে কান্নায় ডুবু ডুবু অবস্থা আজমেরী হক বাঁধনের।
চলচ্চিত্রটির প্রধান চরিত্র আজমেরী হক বাঁধন ছবিটির প্রদর্শনী শেষে গনমাধ্যমকে বলেন, ‘চলচ্চিত্রটি দেখার পর উপস্থিত সবার যে প্রতিক্রিয়া ছিল, জানি না তা কেউ দৃশ্যধারণ করেছেন কিনা। সবাই যে সম্মান দিয়েছে, জানি সেটা পাওয়ার যোগ্য অন্তত আমি না। এই প্রাপ্তির সম্পূর্ণ কৃতিত্ব আমার পরিচালক ও টিমের। টিমের অন্য সব সদস্যকে সত্যি ভীষণ মিস করছি। কারণ এই কাজটি একার না, সবার কষ্টের ফল এটি’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে বলে বোঝাতে পারবো না কী অনুভব করছি। আজকে প্রথমবারের মতো পুরো ছবিটি একসাথে দেখলাম। অনস্ক্রিন রেহানার পেইন, আমার পেইন, আমাদের সবার পেইন- এ এক অন্যরকম অনুভূতি। বিশেষ করে যে সব দর্শকরা সাবাইটেল দেখে ছবিটি বোঝার চেষ্টা করেছিলেন, তারা যখন আমাকে জড়িয়ে ধরে অভিনন্দন জানালেন, বাংলাদেশ নিয়ে প্রসংশা করলেন এইসব বিষয় কখনো বলে বোঝানো যায় না। এই অর্জন আমাদের দেশের অর্জন। কান উৎসবে এসে বাংলাদেশেকে তুলে ধরত পেরেছি এটাই আমাার কাছে সবচেয়ে বড় অর্জন। এখানে সবাই এতো প্রশংসা করেছে, বাংলাদেশের ছবি নিয়ে আশাবাদ জানিয়েছে, আজ সত্যিই গর্ববোধ করছিলাম। আজকে আমি আমার মেয়েকে অনেক মিসড করছি’।
ছবিটি দেখে প্রশংসা করেছেন বিভিন্ন দেশের সংবাদকর্মী, এবং মার্শে দ্যা ফিল্মে অংশগ্রহণকারী ফিল্ম প্রফেশনালরা। আগামী ১৬ জুলাই পুরস্কার প্রধান অনুষ্ঠান। এদিন প্রাপ্তির ঝুলিতে জমা হতে পারে আরো নতুন কিছু। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ চলচ্চিত্রটিতে আজমেরি হক বাঁধন ছাড়াও অভিনয় করেছেন সাবেরী আলম, আফিয়া জাহিন জায়মা, আফিয়া তাবাসসুম বর্ণ, কাজী সামি হাসান, ইয়াছির আল হক, জোপারি লুই, ফারজানা বীথি, জাহেদ চৌধুরী মিঠু, খুশিয়ারা খুশবু অনি, অভ্রদিত চৌধুরী প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন