চার তাজা প্রাণ শহীদ করে মসজিদ ভেঙ্গে মার্কেট নির্মানের চেষ্টা ইতিহাসের এক জঘন্যতম অধ্যায়: ইশা ছাত্র আন্দোলন

চার তাজা প্রাণ শহীদ করে মসজিদ ভেঙ্গে মার্কেট নির্মানের চেষ্টা ইতিহাসের এক জঘন্যতম অধ্যায়: ইশা ছাত্র আন্দোলন
MostPlay

২০০২ সালের ১৫ ইং আগস্ট বাংলার ইতিহাসের এক কালো অধ্যায় রচিত হয়েছিল। কথিত ইসলামী মূল্যবোধের বিএনপি জোট সরকারের বিকৃত রুচিধারী কিছু হায়েনাদের হাতে রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল মালিবাগ বায়তুল আজিম জামে মসজিদ।

মসজিদ ভেঙ্গে মার্কেট নির্মাণের জন্য সেদিন ক্রুসেড স্টাইলে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মানুষ রুপি হায়েনাগুলো। প্রতিবাদী জনতার ওপর মুহুর্মুহু গুলি চালিয়ে মুহুর্তেই চার তাজা প্রাণ শহীদ করে প্রায় অর্ধশতাধিক বিক্ষুব্ধ তাওহীদী জনতাকে রক্তে রঞ্জিত করেছিল "মন্দের ভালো" মন্ত্রের ধ্বজ্জাধারীদের পা চাটা গোলামরা।

আজ উনিশ বছর যাবত এখনো সেই মর্মান্তিক ও ন্যাক্কার ঘটনার জন্য ন্যুনতম অনুশোচনাও করেনি বিএনপি জোট সরকার। আহত ও নিহত শহীদ পরিবারগুলো এখনো পায়নি কোন সুবিচার। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং খুনি ও হুকুম দাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

ঢাকার সেগুনবাগিচাস্থ আত-ত্বরীক মিলনায়তনে মালিবাগশহীদী জামে মসজিদে শাহাদাত বরণকারী শহীদদের জীবন-কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম উপরোক্ত কথা বলেন। 

কেন্দ্রীয় সভাপতি আরো বলেন, সেই মর্মান্তিক ঘটনায় জালিমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে ইশা ছাত্র আন্দোলনের কর্মী, মালিবাগ জামিয়ার ছাত্র শহীদ হাফেজ আবুল বাশার, সদস্য ও চৌধুরী পাড়া মাদরাসার ছাত্র শহীদ রেজাউল করীম ঢালী, শহীদ ইয়াহইয়া ও শহীদ জয়নাল আবেদীন জালিমের নিষ্ঠুর ও নির্মম আঘাতে শহাদত বরণ করে।

ঘটনার পরদিন ঢাকার মুক্তাঙ্গনে ইশা ছাত্র আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত গণজমায়েতে পীর সাহেব চরমোনাই রহ. জোট সরকারের কাছে খুনী তৌফিক ও ছাত্রদল নেতা হানিফসহ খুনিদের গ্রেপ্তার করে অবিলম্বে বিচার, ঘটনার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা, সরকারী খাস জমিতে অবস্থিত মসজিদ গুলোকে সংশ্লিষ্ট মসজিদের নামে ওয়াকফকরণ এবং শহীদ পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ চার দফা দাবি পেশ করলেও কোন দাবিই আমলে নেয়নি বিএনপি জোট সরকার; এমনকি তাদের মাঝে ন্যুনতম অপরাধবোধও সৃষ্টি হয়নি। 

ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, মালিবাগ বায়তুল আজিম জামে মসজিদ রক্ষায় ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর কর্মীরা যে আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তা ইতিহাসে বিরল। সরকার দলীয় ক্যাডার ও তাদের 

উচ্ছিষ্টভোগী গুন্ডাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মসজিদ রক্ষায় নিজের তাজা খুন ঢেলে দিয়েছিলেন বাশার, ঢালি, ইয়াহিয়া ও যায়নুলরা। তাদের সেই আত্মত্যাগে বায়তুল আজিম জামে মসজিদে আজও হায়্যা আলাস সালার ধ্বনি- প্রতিধ্বনি হচ্ছে। সত্যিই তারা ভাগ্যবান, সফলকাম। তাদেরই পথ ধরেই ইশা ছাত্র আন্দোলন গন্তব্যপানে ছুটছে অবিরাম।

ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম শোয়াইব, প্রশিক্ষণ সম্পাদক ইউসুফ আহমাদ মানসুর, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহ, প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মাদ ইবরাহীম হুসাইন, প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক নূরুল বশর আজিজী, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক এম এ হাসিব গোলদার, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক সোলাইমান দেওয়ান সাকিবসহ কেন্দ্রীয় আমেলার অন্যান্য দায়িত্বশীলবৃন্দ।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password