কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে খেলাই হত না তাঁর। কিন্তু পিচ দেখে বিরাট কোহলিই মহম্মদ সিরাজকে দলে ঢোকান। শুধু তাই নয়, তাঁকে নতুন বল দেওয়াটাও কোহলির বুদ্ধি। সেই সিরাজই নায়ক। একাই ধ্বংস করে দিলেন কলকাতাকে। সেই সঙ্গে সম্ভবত অস্ট্রেলিয়া সফরের দলে জায়গাও চূড়ান্ত করে ফেললেন।
আইপিএলের প্রথম বোলার হিসেবে এক ম্যাচে দুটি মেডেন দিলেন সিরাজ। এবারের আইপিএলে কৃপণতম বোলিং। সিরাজ জানালেন, প্রথম ওভারে ক্রিস মরিস সুইং পেতেই ডিভিলিয়ার্সের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁকে দিয়ে বোলিং করানোর সিদ্ধান্ত নেন কোহলি। হায়দরাবাদি পেসারের কথায়, ‘আমাকে দিয়ে বোলিং ওপেন করানোর কোনও পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু মাঠে নামার পরেই বিরাট বলে, মিঞা, রেডি হয়ে যাও। তোমাকে বোলিং করতে হবে। এতেই আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। মরিস প্রথম ওভারে বারবার ব্যাটসম্যানকে বোকা বানাচ্ছিল। এরপরেই এবি–র সঙ্গে কথা বলে বিরাট আমাকে বল দেয়। প্রথমে ভাবিনি এতটা সুইং পাব। কিন্তু নিজের ক্ষমতা কাজে লাগিয়েছি। তাতেই সাফল্য পেয়েছি।’
ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে রাহুল ত্রিপাঠীকে ফেরান সিরাজ। পরের বলেই সুইঙ্গারে বোল্ড করেন নীতিশ রানাকে। আরেকটি আউটসুইংয়ে ফেরান টম ব্যান্টনকে। একসময় বিনা রানে নামের পাশে ৩ উইকেট ছিল। ম্যাচের শেষে বোলিং ফিগার ৪–২–৮–৩। সিরাজ জানিয়েছেন, অনুশীলন করেই ইনসুইং আরও রপ্ত করেছেন। বলেছেন, ‘আমি স্বাভাবিকভাবেই ইনসুইং বোলার। কিন্তু প্র্যাকটিসে সেটা আরও রপ্ত করেছি। নীতিশ রানাকে যে বলে বোল্ড করেছি প্র্যাকটিস একই বল করি দেবদত্ত পাড়িক্কল, পার্থিব প্যাটেলকে।’
আগের মরশুমে কলকাতার বিরুদ্ধেই খলনায়ক হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। আন্দ্রে রাসেলের পিটুনিতে ২.২ ওভারে ৩৬ রান দেওয়ার পর তাঁকে সরিয়ে নেন কোহলি। তার যেন মধুর প্রতিশোধ তুললেন সিরাজ। পাশে থাকার জন্য দলকেও ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘বরাবর দলের থেকে সমর্থন পেয়েছি। চেয়েছিলাম এই মরশুমে একটা ম্যাজিক্যাল পারফরমেন্স উপহার দিতে। অন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম। এমন একটা পারফরমেন্স করতে চেয়েছিলাম, যেটা লোকে মনে রাখবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন