আলু ও পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র (আইপি) দেয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীরা চাইলে, যেকোনো দেশ থেকে আমদানি করতে পারবেন। ছয় মাসে কেউ কোনো পণ্য মজুদ করতে পারেনি। মজুদ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন। আলু ও পেঁয়াজ আমদানিতে আইপি অনুমোদন দেয়া হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, যে কোনো আমদানিকারক এখন যে কোনো দেশ থেকে চাইলেই পেঁয়াজ ও আলু আমদানি করতে পারবেন।
শনিবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে টিসিবি অডিটোরিয়ামে জাতীয় রফতানি ট্রফি ২০২১-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। গত ৬ মাসে মজুতদারি করে কোনো পণ্যে কেউ কারসাজি করতে পারেনি দাবি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারি বৃষ্টির কারণে দেশের ১৮ জেলা তলিয়ে গেছে। এতে পণ্য আসতে সমস্যা হচ্ছে, যা সাময়িক। তবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করা হবে।
এছাড়া চাইলেই এখন যে কোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ ও আলু আমদানি করা যাবে। দেশের গার্মেন্টস খাতে নির্ভরশীলতা কমিয়ে কৃষি ও চামড়া খাতে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রফতানি বাণিজ্যসহ সরকারের সব কর্মকাণ্ডের লক্ষ্য দেশের বেকারত্ব দূর করা। এজন্য শুধু গার্মেন্টস খাতের ওপর নির্ভর করলে চলবে না। তাই দেশের গার্মেন্টস খাতে নির্ভরশীলতা কমিয়ে কৃষি ও চামড়া খাতে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
এ সময়ে রফতানি বাড়ানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প রাস্তা নেই। তাই সব রফতানিকারকের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তথ্যভান্ডার তৈরির কথাও জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশকে ম্যানুফ্যাকচারিং হাব তৈরিতে সহায়তা করতে আগ্রহ দেখিয়েছেন চীনের ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া কোরিয়া, সিঙ্গাপুরসহ আরব দেশগুলোর সঙ্গেও বিনিয়োগ বাড়াতে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি ভবিষ্যতে ইউরোপসহ পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে রফতানি বাণিজ্য বাড়ানো হবে। এসময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, রফতানির হিসাব জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) করে, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) শুধু তা প্রকাশ করে।
এখন থেকে এনবিআরের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট রফতানিকারকদের সঙ্গে সরাসরি তথ্য নিয়ে কাজ করবে ইপিবির পরিসংখ্যান বিভাগ। তাহলে রফতানি তথ্য নিয়ে আর বিভ্রান্তি তৈরি হবে না আগামীতে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন