আজ বুধবার সন্ধ্যায় গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাব কর্তৃপক্ষ অভিনেত্রী পরীমণির বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও কর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছে। ক্লাবের প্রেসিডেন্ট কে এম আলমগীর ইকবাল এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।
ক্লাবের প্রেসিডেন্ট কে এম আলমগীর ইকবাল বলন, আমাদের ক্লাবে গত ৮ জুন ছোট্ট একটি অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছিল। ক্লাব বন্ধের সময় হয়ে এসেছিল। তখন কয়েকজন লোক এসেছিলো ক্লাবে প্রবেশের জন্য। গেটে দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ডরা ফোন করে জানায়, তারা কিছুক্ষণ আগে একবার এসেছিলেন। তখন তারা ফোন ও কিছু কাগজ রেখে গেছেন। সেগুলো নেওয়ার জন্য তারা আবার এসেছেন।
ক্লাবের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের ক্লাবের নিজস্ব কিছু নিয়মকানুন আছে। ক্লাবে প্রবেশের ড্রেস কোড রয়েছে। সেদিন এখানে যারা এসেছিলেন তাদের মধ্যে একজন ছিলেন হাফপ্যান্ট এবং স্যান্ডেল পরা। দু’জন মেয়ে ছিলেন। তখন আমাদের ফুড অ্যাডভাইজার দেখে বলেন, আপনারা তো ক্লাবের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। তাদেরকে ক্লাব থেকে এটা বলায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে যান। এই সময়ে তারা যে সদস্যের মাধ্যমে ক্লাবে আসেন তিনিও তাদেরকে চলে যেতে বলেন। কিন্তু তারা যেতে চাননি। পরে বাধ্য হয়ে আমাদের সেই সদস্য চলে যান।
এর মধ্যে আমাদের ক্লাবের সব কর্মকর্তা চলে যান। শুধু দুজন ওয়েটার ছিলেন। এরই মধ্যে তারা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে পুলিশ ডাকেন। পুলিশ এলে তারা ক্লাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তাদেরকে হেনস্তার অভিযোগ করেন। কিন্তু বাস্তবে তখন আমাদের তেমন কেউ ছিল না। ঘটনার সময় তখন রাত ১টা থেকে দেড়টা বাজে। ওই সময় তাদের একজন ক্লাবের ১৫টি গ্লাস, নয়টি এসট্রে, বেশ কিছু হাফ প্লেট ভাংচুর করেন।
পরে আমরা জানতে পারি, তার নাম পরীমণি। পুলিশ এসেও এর সত্যতা পায়। পরে পুলিশ ঘটনার বিষয়ে তাদের ঊর্ধ্বতনদের জানায়। তারা ওই পুলিশ সদস্যদের চলে যেতে বলেন। আলমগীর ইকবাল বলেন, ক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী যে সদস্যের মাধ্যমে তারা এসেছিলেন, আমরা তাকে শোকজ করেছি।
পরীমণির বিরুদ্ধে ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগে গুলশান থানায় একটি জিডি দায়ের করেছে অল কমিউনিটি ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ঢাকা বোট ক্লাবে চিত্রনায়িকা পরীমণিকাণ্ডের পর আরও কিছু বিষয় খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ। নিয়ম ভেঙে কয়েকটি সোশ্যাল ক্লাবে মধ্যরাতে এই নায়িকার যাতায়াত ও মদ্যপানের খোঁজ-খবর নিচ্ছে পুলিশ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন