সামিন
দশম শ্রেণীর ছাত্র। সে আইডিয়াল স্কুল, বনস্রি শাখায় পড়তো। ছোট বেলা থেকে অত্যন্ত অমায়িক আর ভীষণ অনুভূতি
প্রবণ আন্তরিক ছেলে সে। কাউকে কষ্ট দেওয়ার কথা সে ভাবতেই পারতো
না। প্রমিত ভাষায় বাংলা বলতো সে। পড়াশোনায়ও ভালো ছিল।
অথচ,
তার এই স্বভাবই তার
জন্য কাল হয়ে দাঁড়ালো। সহপাঠীদের বুলিইং এর টার্গেটে পরিনত
হল, সামিন। কারন ছিল শুধুমাত্র তার
অতিরিক্ত ওজন। কাউকেই
সে প্রতিবাদ করে কিছু বলতে পারতো না।
তাই
প্রায়ই সে স্কুলে অনিয়মিত
হয়ে গিয়েছিল। এক পর্যায়ে সে
ওজন কমাবার জন্য হন্যে হয়ে উঠে পড়ে লাগলো। ইন্টারনেট ঘেঁটে ডায়েট করা শুরু করে দিল সে। সারাক্ষণ ভয়ে থাকে তার ওজন বেড়ে যাবে। জোর করে খেলে তার বমি হয়ে যায়। অনেক ডাক্তার দেখানো হলো। বাবা মায়ের পাগল পারা অবস্থা। কেউ বললো ভারতের বেঙ্গলোরে চিকিৎসা আছে। লক ডাউন চলছে,
সেখানে চলছে মৃত্যুর মিছিল।তাই সেখানে নেয়া হল না ।
সবশেষে রক্ষা আর হলো না। গত ২৬শে জুন, রাত এগারোটায় ইউনাইটেড হাসপাতালে এনোরেক্সিয়ার মতো মারাত্মক এক রোগে আক্রান্ত হয়ে সামিন সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেল।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন