মোহাম্মদ হোসেন পরিচালিত ২০০৩ সালের সিনেমা ‘ফায়ার’ দিয়ে নায়িকা হিসেবে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেন চিত্রনায়িকা পলি। এরপর অভিনয় করেন প্রায় ১১৩টি সিনেমায়। যার অধিকাংশই অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত। সবশেষ ২০১২ সালে এক নম্বর আসামী’ সিনেমায় দেখা যায় এ নায়িকাকে। এরপর আর অভিনয় করেননি। চলে যান আড়ালে।ঢাকাই চলচ্চিত্রে এক সময়ের চাহিদাসম্পন্ন চিত্রনায়িকাদের তালিকায় থাকা পলি এখন কোথায়, কী করছেন, সিনেমায় নেই কেন নানা প্রশ্ন সিনেমাপ্রেমীদের মনে। খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেল, এ নায়িকা বর্তমানে ব্যস্ত ব্যবসা নিয়ে।
পলি বলেন, বর্তমানে স্বামী সন্তানের সঙ্গে গুলশানে থাকছি। এগ্রো বিজনেস করছি। পোল্ট্রি ফিডের একটা কোম্পানি আছে আমাদের। ওই কোম্পানির ডিরেক্টর আমি। পাশাপাশি একটা বুটিক হাউজও পরিচালনা করছি। এ নায়িকা বলেন, ‘সিনেমায় প্রতিষ্ঠা পেতে অনেক পরিশ্রম করেছি। অনেক সিনেমা প্রযোজনাও করেছি। রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে শুটিং করতে হয়েছে। একটা চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এত কষ্ট করেছি, সেটার ফলাফল ওইভাবে পাইনি। কিন্তু এখন কষ্ট কম করি, কিন্তু ফলাফল অনেক ভালো।
যদি আয়ের দিক দিয়ে হিসেব করি তখন আমার কষ্ট হয়েছে বেশি, কিন্তু আয় হয়েছে কম। এখন আমার কষ্ট কম। আয় হচ্ছে বেশি। এক্ষেত্রে আমি বলতে পারি আগের তুলনায় ভালো আছি। সিনেমাকে মিস করেন। এখানকার মানুষজন, জীবনযাপনে আজও আগ্রহ আছে পলির। ভালো চরিত্র পেলে আবারও ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে প্রস্তুত তিনি।
তিনি বলেন, সিনেমা না করলেও এখনো নায়িকা হিসেবে একটা আলাদা সম্মান পাই। এজন্য গর্ববোধ হয়। বাংলাদেশে ১০০ পপুলার নায়িকা থাকলে আমি নিজেকে তাদের একজন মনে করি। কোথাও গেলে মানুষজন বলে, পলি আপা আপনার ছবি দেখেছি। পলি আপার ছবি টিভিতে চলে। পলি আপার ছবি হলে গিয়ে দেখেছি। এটা তো অনেক বড় পাওয়া।
আমি একশর ওপর ছবি করেছি। এখন তো নায়িকারা ৪-৫টা ছবি করে হারিয়ে যায়। ওদের নাম কোথাও পাওয়া যায় না। একজন পলি, একজন অপু বিশ্বাস কেউ হতে পারছে এখন। এটা একটা ভাগ্য বটে! উল্লেখ্য, পলি তার সমসাময়িক প্রায় জনপ্রিয় সব নায়কের বিপরীতে অভিনয় করেছেন। এ তালিকায় রয়েছেন চিত্রনায়ক মান্না, শাকিব খান, রুবেল, আমিন খান, অমিত হাসান, আলেকজান্ডার বো ও মেহেদী।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন