শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়াম করা জরুরী। ঠিক একইভাবে ব্যায়াম করার আগে শরীরে শক্তি সঞ্চয় করা প্রয়োজন। অনেকেই দ্রুত শক্তি বাড়াতে ফলের রস বা সবজি খেয়ে থাকেন। তবে এটা হজমে নানান সমস্যার কারণ হতে পারে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে কোন ধরনের শরীরচর্চার আগে কী ধরনের খাবার খাওয়া উচিত সেটার একটা ধারণা এখানে দেওয়া হল।
হাঁটা:
তিন চার ঘন্টা আগে যদি পুষ্টিকর খাবার খেয়ে থাকেন এবং পেট ভরা অনুভব করেন তাহলে ব্যায়াম করার আগে আর কিছু খাওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই যদি হাঁটতে যান অথবা নাস্তা করার আগে হাল্কা ক্ষুধা অনুভব করেন তাহলে একটা নাশপাতি, আপেল, অর্ধেকটা কলা, একগ্লাস স্মুদি, দইয়ের সঙ্গে ফল বা কাঠবাদাম মিশিয়ে খেতে পারেন।
দৌড়ানো:
দৌড়ানোর জন্য অনেক শক্তির প্রয়োজন। তাই আগে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে দুধের তৈরি বা টকজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। এক কিলোমিটারের বেশি দৌড়ালে অন্তত এক ঘণ্টা আগে খাবার খান। গমের টোস্টের সঙ্গে বাদামের বাটার মিশিয়ে খেতে পারেন। কলা, কাজুবাদাম, ছোট এক বাটি শস্যদানা, অর্ধেক ফল এবং বাদামের বার ইত্যাদি উপযুক্ত।
শক্তি বাড়ানোর প্রশিক্ষণ:
শক্তি বাড়ানোর প্রশিক্ষণ এক ধরনের শরীরচর্চা যাতে পেশির সংকোচন ও প্রসারণ হয়। এটা শক্তি বাড়ায়, কংকাল সুগঠিত করে এবং ধৈর্য বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া, শরীরচর্চার আগে পর্যাপ্ত জ্বালানীর যোগান দিতে হয়। সেক্ষত্রে প্রোটিন শেইক, আপেল, পিনাট বাটারের সঙ্গে শস্যের টোস্ট, উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ ওটমিল এবং স্মুদি যেমন- বেরি ও কলার প্রোটিন স্মুদি খেতে পারেন।
যোগ ব্যায়াম:
যোগ ব্যায়াম করার আগে যে কোনো ভারী খাবার থেকে বিরত থাকুন। আঁশ সমৃদ্ধ ফল, কলা, বাদাম, এক বাটি বেরি, ওটমিল অথবা রান্না করা শস্য এক্ষেত্রে ভালো কাজ করে।
সাইকেল চালানো বা দড়ি লাফ:
সুস্থ থাকতে যদি সাইকেল চালানো বা দড়ি লাফানোতে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন তাহলে স্বাস্থ্যকর খাবার ও নাস্তা করতে হবে। দড়ি লাফানো বা সাইকেল চালানোর এক ঘণ্টা আগে মৌসুমি খাবার, যব, কলা, ডিম, এক মুঠ শুকনা ফল, গ্রিল করা স্যামন মাছ অথবা সিদ্ধ ব্রকলি খেতে পারেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন