ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। ওই ঘটনার একটি খবর যুক্ত করে মঙ্গলবার এক টুইটে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস।
তিনি লিখেছেন, “ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলমের ওপর হামলার ঘটনায় জাতিসংঘের বাংলাদেশ কার্যালয় উদ্বিগ্ন। সহিংসতা ছাড়াই প্রত্যেকের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মৌলিক মানবাধিকার অবশ্যই নিশ্চিত ও সুরক্ষিত করতে হবে।” বিএনপিসহ অধিকাংশ দলের বর্জনের মধ্যে এই নির্বাচনকে আলোচনায় আনেন ইউটিউবার হিরো আলম।
এর আগে বগুড়া থেকে নির্বাচন করা এই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন একতারা প্রতীক নিয়ে। ভোটের দিন সোমবার বিভিন্ন কেন্দ্রে কেন্দ্রে গিয়ে ভোটের পরিস্থিতি দেখছিলেন হিরো আলম। পরে ভোটগ্রহণের শেষ দিকে বিকাল সোয়া ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে তিনি হামলার শিকার হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দিতে স্কুলের মাঠে কয়েকজনের সঙ্গে সেলফি তোলেন হিরো আলম।
তখন নৌকার ব্যাজধারী কয়েকজন এসে তাকে ঘিরে ধরেন এবং বলেন, ‘এটা টিকটক ভিডিও বানানোর জায়গা না’। এরপর হিরো আলমকে ধাওয়া শুরু করেন। তখন কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা হিরো আলমকে ঘিরে ধরে স্কুলের গেইটের বাইরে দিয়ে আসেন। এরপর হিরো আলমকে সড়কে ফেলে বেধড়ক পেটানো হয়। ভোট শেষে হামলার ওই ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
আমি নিজেও সকালে ৮-১০ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি, শান্তিপূর্ণ দেখেছি। আমাদের আরেক নির্বাচন কমিশনারও গেছেন। “প্রত্যেকটি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। সিসি ক্যামেরাও দেখেছি আমরা। ঢাকার বাইরেও পৌরসভাসহ কিছু নির্বাচন হয়েছে। প্রত্যেকটি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।”
হিরো আলমের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকরা তুলে ধরলে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, “১২৪টা কেন্দ্র রয়েছে, একটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলে তো বলা যায় না অসুষ্ঠু হয়েছে। “স্বতন্ত্র প্রার্থীর উপর হামলার বিষয়ে কিছু তথ্য আমরা জেনেছি, প্রকৃত চিত্র পাইনি। যতটুকু জেনেছি, স্বতন্ত্র প্রার্থী অনেক সমর্থক নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টা করেছে, সাথে ইউটিউবার ছিল প্রায় ৭০ জনের মত।”
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন