নওগাঁর পত্নীতলায় এখনো পিড়িতে বসে চুল দাড়ি কাটছে গ্রামের মানুষ

নওগাঁর পত্নীতলায় এখনো পিড়িতে বসে চুল দাড়ি কাটছে গ্রামের মানুষ

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নতুনহাটে আজও পিড়িতে বসে চুল দাড়ি কাটছে গ্রামের মানুষেরা। গ্রামাঞ্চল ও হাট-বাজারে আর জৌলুস নেই নরসুন্দরদের। আগের দিনের মতো প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে আর শহরের হাট-বাজারে বা রাস্তার পাশে বা গাছতলায় যেখানে-সেখানে বসে খৌরকর্ম করত নরসুন্দর বা নাপিতরা। কোনো কোনো এলাকায় এদের শীল বলেও অবহিত করা হতো। তবে আজও রয়ে গেছে রাস্তায় বা গাছতলায়। আবার কেউ কেউ দক্ষতার অভাবে পুরনো নিয়মে পেশাকে আজও আঁকড়ে ধরে আছেন।

এদের একজন উপজেলার নাদোড় গ্রামের শ্রী পিতম চন্দ্র। হাটে হাটে বসে পুরনো দিনের মতো চুল দাড়ি কামানোর প্রথাকে আঁকড়ে ধরে রুজি রোজগারের সন্ধানে আজও ব্যস্ত সময় পার করছেন। হাটে হাটে প্রতিদিন যা আয় হয় তা দিয়ে চলে তার সংসার। শ্রী পিতম চন্দ্র বলেন, আমি বাজারের এই রাস্তার পাশ থেকে উঠে এসে বড় আয়না ঝুলানো দোকান দিতে পারিনি। তাই আজও রাস্তা বা বড় কোনো গাছের নিচে বসে বিভিন্ন হাট-বাজারে আপন মনে এই পেশা আঁকড়ে ধরে আছি। চুল কাটা ২০ টাকা ও দাড়ি কাটা ১০ টাকা করে সারাদিন দেড়শ থেকে দুইশ টাকা উপার্জন করে কোনোমতে সংসার চালাই।

এই প্রজন্মের উদ্দেশ্য করে স্থানীয় শ্রী পার্থ কুমার মন্ডল বলেন, জমিদার আমলে হিন্দু সম্প্রদায়ের শীল পরিবারের সদস্যরা নরসুন্দর বা নাপিতের কাজ করতো। জমিদার আমলে এ পেশার অবস্থা ছিল রমরমা। তখন তারা হাট বাজারে দল বেঁধে কাজ করতো। কালের বিবর্তনে নরসুন্দর পেশার এখন ধরন বদলেছে। রাস্তা ফুটপাত ও গাছতলা থেকে চকচকে দোকানে উঠে এসেছে। অনেকে নগদ পয়সা দিতো আবার অনেকে বছরভিত্তিক ফসল উঠলে তাদের ধান পাট গম ছোলা দিয়ে চুল দাড়ি কামানোর টাকা পয়সা পরিশোধ করার রেওয়াজও ছিল।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password