সবচেয়ে প্রচলিত মত হচ্ছে ভবনটির স্থানে পূর্বে কাঠ-খড় দিয়ে নির্মিত একটি গির্জা ছিল। একদা তা আগুন ধরে পুরো গির্জা পুরে গেলে, বর্তমান ভবনটি পুরে যাওয়া গির্জার স্থানে প্রতিস্থাপিত করা হয়। বর্তমান পাকা ভবনটি ১৮০০ সালের মাঝামাঝি কোনো এক সময় নির্মিত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। পর্তুগিজ ভাষায় বাংলা ভাষার প্রথম যে ব্যাকরণ ও মিশনারি রচনাকারী পাদ্রী ম্যানুয়াল দ্যা অ্যাসুম্পসাও এই গির্জারই পাদ্রী ছিলেন এবং এ গির্জাতেই তিনি সে গ্রন্থ রচনার কাজ করেছিলেন। দ্বিতীয় সবচেয়ে পুরানো গির্জাটি তেজগাঁও এর গির্জা। যেটি ১৬৭৭ সালে নির্মিত হয়। তেজগাঁও এবং টলেন্টিনির সাধু নিকোলাস গির্জা, এ দু’টিই পর্তুগিজরা নির্মাণ করে। মূলত ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে পর্তুগিজদের এ দেশে আগমন ঘটলেও ইউরোপীয়দের মধ্যে তারাই প্রথম ধর্ম প্রচার শুরু করে।
স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে ও পর্তুগিজ ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহায়তায় সাধু নিকোলাস গির্জাটি নির্মাণ করেন। স্থানীয়দের অধিকাংশই টলেন্টিনির সাধু নিকোলাসের গির্জাকে নাগরী গির্জা নামে চেনেন। টলেন্টিনির সাধু নিকোলাস গির্জা বা নাগরী গীর্জার খুব কাছেই পানজোড়া গির্জা বা সাধু এন্টোনিস গির্জা স্থাপিত ১৯০৬ সালে। যেখানে প্রতি বছর সাধু আন্তুনির তীর্থোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন