ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বেনুবন অরণ্য কুটিরে কঠিন চীবর দান

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বেনুবন অরণ্য কুটিরে কঠিন চীবর দান
MostPlay

রাঙামাটির নানিয়ারচরে বেনুবন অরণ্য কুটিরে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমূখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে ১ম শুভ দানোত্তম কঠিন চীবর দান সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার সকালে উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের জুরাছড়ি বেনুবন অরণ্য কুটিরে দু'দিনব্যাপি এই শুভ দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। 

এসময় রাঙামাটি রাজবন বন বিহারের আবাসিক প্রধান  অধ্যক্ষ শ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাথের, কাটাছড়ি রাজবন  ভাবনা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ইন্দ্র গুপ্ত মহাস্থবির, বোধিপুর বন বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ জিন বোধি মহাস্থবির, শ্রীমৎ জ্ঞানপ্রিয় মহাস্থবির, শ্রীমৎ সত্য প্রেম মহাস্থবির, তক্ষশীলা বন বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ করুনাবদ্ধন মহাস্থবির, শ্রীমৎ মহামিত্র মহাস্থবির, জুরাছড়ি বেনুবন অরণ্য কুটিরের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ পন্থক মহাস্থবির সহ বিভিন্ন বিহার থেকে আমন্ত্রিত ভিক্ষু সঙ্ঘরা উপস্থিত ছিলেন।

গত শুক্রবার হতে শুরু হওয়া ২দিনব্যাপী এই দানোত্তম অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন উপমন্ত্রী মনিস্বপন দেওয়ান, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ইলিপন চাকমা, রাঙামাটি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুখময় চাকমা, নানিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ সুজন হালদার, হেডম্যান এসোসিয়েশন সভাপতি সুজিত তালুকদার, বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি রুপায়ন চাকমা, সাধারণ সম্পাদক বিপিন চাকমাসহ হাজারো উপাসক-উপাসিকাবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিখিল কুমার বলেন, প্রত্যেক কে তার ধর্ম রক্ষায় কাজ করতে হবে। যাদের কষ্ট পরিশ্রমে এত সুন্দর কঠির চীবর দান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন তাদের সকলকেই ধন্যবাদ।

তিনি আরো বলেন, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এলাকার উন্নয়ন সম্ভব নয়। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে থাকাকালীন এই এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছি। পার্বত্যাঞ্চলের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।

এসময় তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক এই এলাকা হতে রামহরি পাড়া পর্যন্ত ৪কিলোমিটার সড়ক নির্মানের কথা জানান। এই সড়ক নির্মাণ হলে স্থানীয়দের শিক্ষা চিকিৎসা ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় দ্রুত উন্নয়ন হবে বলে মন্তব্য করেন।

উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান এসময় বৌদ্ধ সংঘের নিকট প্রধানমন্ত্রী ও দেশবাসীর মঙ্গল কামনায় আশীর্বাদ কামনা করেন।  

নিশা চাকমার সঞ্চালনায় শ্রীমৎ ইন্দ্র গুপ্ত মহাস্থবির দেশনায় বলেন, কানে, মনে ও জ্ঞানে ধর্ম দেশনা শ্রবণ করতে হবে। জ্ঞান দিয়ে ধর্মকে উপলব্ধি করতে হবে। অন্যান্য দানের পুন্যের ফলাফল এক ভাগ আর কঠিন চীবর দানের পুণ্য ১৬ভাগ বলেও মন্তব্য করেন এই ধর্মীয় গুরু। মিথ্যাদৃষ্টি থেকে দূরে থাকতে হবে। ভান্তের শাসন চির স্থায়ী থাকবে।

দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় আকাশ প্রদীপ (ফানুস) উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এবারের কঠিন চীবর দানের সমাপ্তি হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password