দোকান থেকে মেয়োনিজ কেনা আর না,ঘরে বানিয়ে ফেলুন খুব সহজে।

দোকান থেকে মেয়োনিজ কেনা আর না,ঘরে বানিয়ে ফেলুন খুব সহজে।
MostPlay

মেয়োনিজ-এর রেসিপি ও টিপস (ঘরে বানানো )

আসুন আরো কিছু ব্যবহার জেনে নেই -

ঊপকরন 

ডিম -৩টি 

সাদা সরিষার গুড়া -১চা চামচ

সাদা গোলমরিচের গুড়া -১চা চামচ

লেবুর রস সামান্য

লবন হাফ চা চামচ

চিনি -১ চা চামচ

তেল - পরিমান মত 

প্রনালী—

১) প্রথমে ডিমের কুসুম এবং সাদা অংশ আলাদা করে নিন। আলাদাভাবে বিটার দিয়ে ফাটিয়ে নিতে হবে।

২) এবার দুটো মিশ্রণকে একসাথে করে এর মধ্যে সাদা সরিষার গুঁড়ো, সাদা গোলমরিচের গুঁড়ো, লেবুর রস, সামান্য লবণ ও চিনি মিশিয়ে বিট করে নিন।

৩) তারপর মিক্স করে রাখা উপকরণগুলো একটি ব্লেন্ডারে নিন। ধীর গতিতে ব্লেন্ডার চলবে এবং উপর থেকে অল্প অল্প করে তেল ঢালতে হবে।


৪) কিছুক্ষণ পর পর তেল দিতে হবে, একবারে সবটুকু দিয়ে দিলে কিন্তু মেয়োনিজ জমবে না।


৫) মিশ্রণটি ঘন হয়ে জমে গেলে সাথে সাথে ব্লেন্ডার বন্ধ করে দিন। ব্যস, ২ মিনিটেই কিন্তু রেডি হয়ে গেল!

টিপস—

১) মেয়োনিজ বানানোর সময় ফ্রিজে রাখা ডিম সরাসরি ব্যবহার করবেন না। ডিম ফ্রিজ থেকে বের করে আগে রুম টেম্পারেচারে নিয়ে আসতে হবে।

২) তেলের পরিমাণ নির্ভর করে ডিমের সাইজের উপর। ব্লেন্ডারে যখনই মিশ্রণটি একদম ঘন হয়ে যাবে, তখনই বুঝবেন যে আর তেল দিতে হবে না।

৩) যদি বানানোর সময় মেয়োনিজ ফেটে যায়, তাহলে আরেকটা ডিম ফাটিয়ে নিয়ে  ব্লেন্ড করতে থাকুন। এতে মিশ্রণটি জমে যাবে।

৪) স্বাদের ভিন্নতা আনার জন্য ধনেপাতা, রসুন, পুদিনা পাতা বা পছন্দমতো উপকরণ দিতে পারেন।

৫) এটা  ২-৩ দিন পর্যন্ত ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারবেন। ১ সপ্তাহের জন্য করতে চাইলে লেবুর রসের পরিবর্তে ভিনেগার দিতে হবে।

৬)এই মেয়োনিজ তৈরি করে ফ্রেশ অবস্থায় খেয়ে নেওয়াই ভালো, তাতে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হবার সুযোগ থাকে না। 

৭)ঘরেবানানো বারবিকিউ চিকেন, স্যান্ডউইচ, বার্গার, শর্মা বা যে কোন ফাস্টফুড আইটেমের সাথে দারুণ মানিয়ে যাবে এটি। বাচ্চাদের টিফিনে পাঊরুটির সাথে দিতে পারেন।

৮)তাহলে স্বাদ ও মান নিয়ে আর কোনো আপোষ নয়, বাসায়ই বানিয়ে নিন রেস্টুরেন্টের মতো মজাদার মেয়োনিজ।

৯)কাচের বৈয়ামে সংরক্ষন করুন।

১০) যে চামচ ব্যবহার করবেন তা যেন পানি না থাকে তাহলে দ্রুত নস্ঠ হয়ে যেতে পারে।

আপনি কতটুকু বানাতে চান তার ঊপর ঊপকরন বাড়াতে কমাতে পারবেন।

চলুন জেনে নেই মেয়োনিজের কয়েকটি আশ্চর্য ব্যবহারের কথা-

১) বাড়িতে ছোট বাচ্চা রয়েছে আর সে ঘরের দেওয়ালে আঁকা-আঁকি করবে না, তা কি হয়! দেওয়ালে এই আঁকা-আঁকি করাটা শৈশবেরই একটা অঙ্গ। তবে দেওয়াল থেকে এই দাগ তোলার ঝামেলাও কিন্তু কম নয়! জানেন কি, মেয়োনিজ দিয়ে এই দাগ খুব সহজেই তুলে ফেলা যায়!

২) আঙুলের আংটি শক্ত হয়ে আটকে গেছে? আঙুলে ভাল করে মেয়োনিজ মাখিয়ে নিন। অল্প সময়ের মধ্যেই সেটি সহজেই আঙুল থেকে বেরিয়ে আসবে।

৩) কাঠের টেবিলের ওপর অনেক সময় চা বা কফির কাপ রাখলে সেখানে গোল হয়ে দাগ পড়ে যায়। অনেক সময় এই দাগ এতটাই কড়া হয় যে মুছলেও সহজে উঠতে চায় না। এ ক্ষেত্রে দাগের জায়গায় মেয়োনিজ লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। তারপর নরম কোন কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। দাগ উধাও হয়ে যাবে!

৪) ছোটরা দুষ্টুমি করে বা বন্ধু-বান্ধবরা অনেক সময়ই মজা করে চিউইং গাম লাগিয়ে দেয়। চুলে চুইংগাম একবার এঁটে গেলে তা ওঠানো প্রায় অসম্ভব। চুইংগামে এঁটে থাকা চুল হয়তো শেষ পর্যন্ত কেটে ফেলা ছাড়া আর কোন উপায়ই থাকে না! তবে মেয়োনিজ থাকলে চুল কাটার প্রয়োজন পড়বে না। চুলের চুইংগাম এঁটে থাকা অংশে ভাল করে মেয়োনিজ মাখিয়ে কিছু ক্ষণরেখে দিন। তারপর পানি দিয়ে বা শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল থেকে চুইংগাম আলগা হয়ে বেরিয়ে যাবে।

৫) অনেক সময়ই দরজা বা জানলার ছিটকিনি বা তালার ঘাট জং ধরে শক্ত হয়ে যায়। জং ধরা অংশে মেয়োনিজ লাগিয়ে রাখুন। বার কয়েক নাড়াচাড়া করুন। ঠিক হয়ে যাবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password